জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটার ছাড়লেন সংস্থাটির শীর্ষস্থানীয় এক নারী কর্মকর্তা। তার নাম এলা আরউইন। তিনি সংস্থাটির হেড অব ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটটি ছেড়ে যাওয়ার কথা তিনি নিজেই ঘোষণা করেছেন।
মাত্র এক বছর আগে তিনি টুইটারে যোগ দিয়েছিলেন। শুক্রবার (২ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটারের হেড অব ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি এলা আরউইন বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা থেকে পদত্যাগ করেছেন।
রয়টার্স বলছে, আরউইন ২০২২ সালের জুন মাসে টুইটারে যোগ দিয়েছিলেন। একই বছরের নভেম্বরে সংস্থাটির ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি দলের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। মূলত পূর্ববর্তী প্রধান ইয়োয়েল রথ পদত্যাগ করার পর আরউইন এই দায়িত্বে এসেছিলেন।
জনপ্রিয় এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের আপলোড করা কনটেন্ট পর্যালোচনা এবং নিরীক্ষণের প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করতেন এলা আরউইন।
মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক গত বছরের অক্টোবরে টুইটারের মালিকানা নেওয়ার পর থেকে প্লাটফর্মটিতে ক্ষতিকারক কনটেন্টের বিরুদ্ধে দুর্বল সুরক্ষা নীতির জন্য সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে সংস্থাটি। আর আরউইনের এই পদত্যাগের ঘোষণা এমন সময়ে সামনে এলো যখন প্ল্যাটফর্মটি তার বিজ্ঞাপনদাতাদের ধরে রাখার জন্য সংগ্রাম করছে।
মূলত বিজ্ঞাপনদাতা ব্র্যান্ডগুলো অনুপযুক্ত কনটেন্টের পাশে নিজেদের উপস্থিত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।
এর আগে গত মাসের মাঝামাঝিতে টুইটারের নতুন সিইও হওয়ার জন্য লিন্ডা ইয়াকারিনোকে নিয়োগ করেন ইলন মাস্ক। তিনি এনবিসি ইউনিভার্সালের সাবেক বিজ্ঞাপন প্রধান। এছাড়া ফরচুন এর আগে জানিয়েছিল, আরউইনের অভ্যন্তরীণ স্ল্যাক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে রেকর্ড ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। এরপর নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এবং টুইটারে আমূল পরিবর্তনের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন মার্কিন এই ধনকুবের।
টুইটার কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরপরই নভেম্বরের শুরুতে মাস্কের প্রথম কয়েকটি সিদ্ধান্তের একটি ছিল টুইটারের সাড়ে ৭ হাজার কর্মীর মধ্যে ৫০ শতাংশকে বরখাস্ত করা। খরচ কমানোর অজুহাতে সেসময় তিনি ৩ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছিলেন।
মূলত মাস্কের অধিগ্রহণের পর থেকে টুইটার নাটকীয়ভাবে তার খরচ কমিয়েছে এবং হাজার হাজার কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে। আর এর মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ক্ষতিকারক এবং অবৈধ কনটেন্ট প্রতিরোধ, নির্বাচনের নিয়ম রক্ষা এবং সাইটে সঠিক তথ্য সামনে আনার ওপর কাজ করতেন।
আইএ/ ০২ জুন ২০২৩