মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ইউক্রেনে যুদ্ধরত প্রথম ইরাকি নাগরিক নিহত

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩
ইউক্রেনে যুদ্ধরত প্রথম ইরাকি নাগরিক নিহত


কিয়েভ, ০১ জুন – রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ‘ওয়াগনার’-এর হয়ে যুদ্ধরত একজন ইরাকি নাগরিক এপ্রিল মাসে ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন। ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেছেন, ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যের নাগরিকের যুদ্ধে মারা যাওয়ার প্রথম নিশ্চিত ঘটনা।

রুশ সংবাদ মাধ্যম ‘আরআইএ ফ্যান’ অনুসারে, আব্বাস আবুথার উইটউইট নামের ওই ইরাকি নাগরিক রাশিয়ান-অধিকৃত পূর্ব ইউক্রেনীয় শহর লুহানস্কের একটি ওয়াগনার হাসপাতালে পৌঁছানোর একদিন পরেই মারা যায়। দিনটি ছিল ৭ এপ্রিল।

প্রিগোজিন স্থানীয় সময় বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন, তিনি রাশিয়ার কারাগার থেকে আব্বাস আবুথারকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তিনি এটাও বলেন, জেল থেকে তার ভাড়াটে বাহিনীতে যোগদানকারী আব্বাস প্রথম আরব নাগরিক নন। ওয়াগনার প্রধান আরো বলেন, ‘ইরাকি এই নাগরিক বীরের মতো যুদ্ধ করেছেন এবং বীরের মতোই মারা গিয়েছিলেন।’

রাশিয়ার আরআইএ ফ্যান নিউজ জানিয়েছে, বাখমুতেই আহত হয়ে ইরাকি এই নাগরিক মারা গেছেন।

রয়টার্সের যাচাই করা আদালতের কাগজপত্র অনুসারে, রাশিয়ার কাজান শহরের একটি আদালত ২০২১ সালের জুলাই মাসে মাদকের অভিযোগে আব্বাসকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। নথিতে বলা হয়েছে, আব্বাস দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সময় রাশিয়ার একটি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
আরআইএ ফ্যান নিউজের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে, আব্বাসের বাবা হিসাবে চিহ্নিত করা এক ব্যক্তিকে ওয়াগনার গোষ্ঠী তার ছেলের মরণোত্তর পুরস্কার প্রদান করছে। আব্বাসের বাবা বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে লড়াই করার জন্য ‘স্বেচ্ছাসেবক’ হিসাবে তালিকাভুক্ত হতে ছেলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আব্বাস সর্বদা তার নিজের ইচ্ছামতোই সব সিদ্ধান্ত নিত। সে এমন একজন ব্যক্তি হতে চেয়েছিল, যে তার স্বাধীনতা ধরে রাখত নিজেকে রক্ষা করে। সে আমাকে বলেছিল, রাশিয়ায় এসে সে তার স্বাধীনতা পেয়েছে।’

ধ্বংস প্রাপ্ত হওয়া ইউক্রেনীয় শহর বাখমুতের জন্য বেশিরভাগ লড়াই চালানোর জন্য রাশিয়ার কারাগার থেকে ওয়াগনার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছিল। তারা সবাই অপরাধের কারণে কারাগারে বন্ধী ছিল।

তাদের বলা হয়েছে, যদি তারা ইউক্রেন যুদ্ধে ছয় মাস বেঁচে থাকে তবে তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
গত ফেব্রুয়ারীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠীর ৩০ হাজার বেশি সেনা হতাহতের শিকার হয়েছে। ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন গত সপ্তাহে বলেছিলেন, বাখমুতের নিয়ন্ত্রণের জন্য মাসব্যাপী যুদ্ধে তার প্রায় ২০ হাজার ভাড়াটে সেনা নিহত হয়েছে। তিনি আরো বলেছিলেন, ইউক্রেনে ওয়াগনারের সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রায় ৫০ হাজার বন্দীকে নিয়োগ করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ এখন মারা গেছে।

সূত্র : কালের কন্ঠ
আইএ/ ০১ জুন ২০২৩





আরো খবর: