কক্সবাজারে আলোচিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম (আশিক) ও মেহেদী হাসান বাবু’র ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর এবং বিকেলে পৃথক শুনানি শেষে জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম আবুল মনসুর সিদ্দীকি এ আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী সংস্থা ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, এ মামলার বাকী পাঁচ আসামির রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তারা কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি।
আশিককে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হলে গত রোববার (২ জানুয়ারি) তাকে কক্সবাজার কারাগারে নিয়ে আসা হয়।
অপরদিকে গতকাল সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় মামলার দুই নম্বর আসামি মেহেদী হাসান বাবুকে। মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারের ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম। এ নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আলোচিত এ মামলায় এজাহারনামীয় ৪ জনসহ মোট ৭ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো।
এর আগে মামলার তিন নম্বর আসামি ইস্রাফিল হুদা (জয়) ও সন্দেহভাজন ৩ আসামি মেহেদী হাসান, মামুনুর রশীদ ও রেজাউল করিম সাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। অপরদিকে হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন ও আশিককে গ্রেফতার করে র্যাব।
উল্লেখ্য গত ২২ ডিসেম্বর স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে সৈকতের ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে ও পরে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে দুই দফা ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আসামিদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে কক্সবাজারের কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় হোটেল ম্যানেজারকে আটক করা হয়।
এ ঘটনার পরের দিন জড়িতদের শনাক্ত করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩ জনসহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের স্বামী।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত প্রধান আসামি আশিকসহ মোট সাতজন গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার আসামিরা হলেন- শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম আশিক, মেহেদী হাসান বাবু, ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন, মেহেদী হাসান, মো মামুনুর রশিদ ও রেজাউল করিম শাহাবুদ্দিন।
উল্লেখ্য গত ২২ ডিসেম্বর স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে সৈকতের ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে ও পরে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে দুই দফা ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আসামিদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে কক্সবাজারের কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় হোটেল ম্যানেজারকে আটক করা হয়।