প্যারিস, ১৭ মে – ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির দুর্নীতির মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির আদালত।
বুধবার (১৭ মে) প্যারিস আদালতের আপিল বিভাগ সারকোজির বিরুদ্ধে তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন।
যদিও দুই বছরের দণ্ড স্থগিত রেখে বাকি বছরের জন্য জেলে যাওয়ার পরিবর্তে সারকোজির একটি ইলেকট্রনিক ট্যাগ পরতে হবে। ওই ইলেকট্রনিক ট্যাগের মাধ্যমে সারকোজিকে নজরদারিতে রাখা হবে।
আদালত আরও বলেছেন, ওই রক্ষণশীল রাজনীতিবিদকে তিন বছরের জন্য সরকারি অফিসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিকোলাস সারকোজিকে নির্দোষ দাবি করে তার আইনজীবী জ্যাকলিন লাফন্ট জানান, আদালতের সিদ্ধান্ত অন্যায্য।
লাফন্ট বলেন, আমরা বিচার প্রক্রিয়ার শেষ পর্যন্ত যাব, ন্যায় বিচারের জন্য ফ্রান্সের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করব। রায় কার্যকর হওয়ার আগে শেষ আইনি পদক্ষেপ নেব।
২০২১ সালের মার্চ মাসে সারকোজির দুর্নীতির দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড হয়।
তার পূর্বসূরি জ্যাক শিরাকও দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ২০১১ সালে। তাকেও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ওই কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়।
২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন সারকোজি। এ সময় তিনি এক বিচারককে ঘুষের মাধ্যমে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। সারকোজি ওই বিচারককে মোনাকোয় একটি ভালো চাকরির সুযোগ দেওয়ার প্রলোভন দেখান। আর এর বিনিময়ে তার দল সম্পর্কিত চলমান অপরাধ তদন্তের তথ্য চেয়েছিলেন তিনি। এ মামলায় সেই বিচারক গিলবার্ট অ্যাজিবার্ট এবং সারকোজির আইনজীবী থিয়েরি হার্জোগেরও তিনবছর কারাদণ্ড হয়।
সূত্র: বাংলানিউজ
আইএ/ ১৭ মে ২০২৩