শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

বিপর্যস্ত পাকিস্তানে এবার বাড়ল ওষুধের দাম

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩
বিপর্যস্ত পাকিস্তানে এবার বাড়ল ওষুধের দাম


ইসলামাবাদ, ২৯ এপ্রিল – ডলার সংকটের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি চরম সংকটময় সময় পার করছে। ডলারের বিপরীতে রুপির অব্যাহত দরপতনের ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে শুক্রবার ওষুধের দাম বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম ২০ শতাংশ ও জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম ১৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তবে, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, দাম বাড়ানো খুব কম হয়েছে।

সর্বশেষ কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানে ওষুধ সংকট দেখা যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ওষুধ আমদানি করতে পারছিল না তারা। একইসঙ্গে ওষুধ শিল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছিল। ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়ে সর্বশেষ এক মাস ধরে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসোসিয়েশন ও সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছিল। অ্যাসোসিয়েশন দাম ৩৯ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য বলছিল। তাদের দাবি, দাম ঠিক মতো না বাড়ালে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।

রয়টার্স বলছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পেতে আমদানিকৃত পণ্যে ভর্তুকি বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এর জেরে পণ্যের দাম আগের থেকেও বাড়ছে। গত মার্চে পাকিস্তানের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৩৫ শতাংশ। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে।

কয়েক মাস পরেই পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে ওষুধের দাম অত্যধিক বাড়ানোর বিপক্ষে ছিল দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার। তাদের ভয় ছিল, ওষুধের দাম বাড়ানো হলে জনসমর্থন হারিয়ে যেতে পারে।

ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়ে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, পাকিস্তানি রুপির মূল্য বাড়লে তিন মাস পরে আবার ওষুধের দাম পর্যালোচনা করা যেতে পারে। আর আগামী অর্থবছরে একই বিভাগের অধীনে কোনো বৃদ্ধি হবে না।

পাকিস্তানের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসোসিয়েশন পিপিএমএ ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়ে সমালোচনা করছে। তারা বলছে, আমাদের আশা অনুযায়ী দাম বাড়ানো হয়নি। এটি আমাদের প্রত্যাশার অনেক নিচে রয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৯ এপ্রিল ২০২৩





আরো খবর: