শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

বুরকিনা ফাসোয় সশস্ত্র হামলা, নিহত ৬০

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩
বুরকিনা ফাসোয় সশস্ত্র হামলা, নিহত ৬০


ওয়াগাদুগু, ২৪ এপ্রিল – আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে অস্ত্রধারীদের হামলায় অন্তত ৬০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দেশটির ওয়াহিগৌয়া শহরের নিকটবর্তী একটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওয়াহিগৌয়ার কৌঁসুলি ল্যামিন কাবোরে রোববার (২৩ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মালির সীমান্তবর্তী ওই এলাকার এ হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যারা আক্রমণ করেছিল তারা সবাই বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনীর পোশাক পরিহিত ছিল। স্থানীয় পুলিশও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ল্যামিন কাবোরে জানিয়েছেন, বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ ইয়াতেঙ্গা প্রদেশের ওয়াহিগৌয়ার নিকটবর্তী গ্রাম কার্মায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। গ্রামটি প্রতিবেশী মালির সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই এলাকায় আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই আক্রমণ চালিয়ে থাকে। এক বিবৃতিতে ল্যামিন কাবোরে জানিয়েছেন, হামলার কারণ এবং অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে। তবে তিনি এই হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ২০২২ সালের পর থেকেই দেশটিতে সাধারণ নাগরিকের ওপর হামলা বেড়ে গিয়েছে। এমনকিদেশটির সেনাবাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবী সশস্ত্র বাহিনী দেশজুড়ে ব্যাপক সন্ত্রসাবাদবিরোধী অভিযান চালানোর পরও এ ধরনের হামলা কমেনি।

এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল ওয়াহিগৌয়ায় দেশটির সেনাবাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবী সশস্ত্র বাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও অন্তত ৩৩ জন।

এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার শুরু মূলত মালি থেকে। ২০১২ সালে ইসলামপন্থীরা তুয়ারেগ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই এই অঞ্চলে অস্থিরতা শুরু হয়। যা পরে ছড়িয়ে পড়ে বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং অন্যান্য দেশে। এই অস্থিরতায় বিভিন্ন দেশে কয়েক হাজার লোক নিহত হয়। বাস্তুচ্যুত হয় অন্তত ২৫ লাখ মানুষ।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৪ এপ্রিল ২০২৩





আরো খবর: