ইসলামাবাদ, ২৬ মার্চ – পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। এবার দেশটির সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশটির ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস) সংবেদনশীল দামের সূচকের (এসপিআই) নিরিখে এই পরিসংখ্যান হাতে পেয়েছে।
পিবিএস তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশে পেট্রোলিয়াম দ্রব্যের বিপুল মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসেরই দাম বেড়েছে। তবে ময়দা আর ডিমের মতো গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত জিনিসের তিন গুণ দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সাধারণ মানুষের কপালে। পিবিএসের ট্র্যাক করা ৫১টি পণ্যের মধ্যে ২৬টি পণ্যের দাম বেড়েছে, ১৩টি পণ্যের দাম কমেছে। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টি পণ্যের।
পিকেরেভিনিউর প্রতিবেদন অনুসারে, যে পণ্যগুলোর দাম বেশি রেকর্ড করা হয়েছে সেগুলো হলো পেঁয়াজ (২২৮.২৮ শতাংশ), সিগারেট (১৬৫.৮৮ শতাংশ), গমের আটা (১২০.৬৬ শতাংশ), ডিজেল (১০২.৮৪ শতাংশ), চা (৯৪.৬০ শতাংশ), কলা (৮৯.৮৪ শতাংশ), বাসমতি ভাঙ্গা চাল (৮১.২২ শতাংশ), পেট্রল (৮১.১৭ শতাংশ), ডিম (৭৯.৫৬ শতাংশ)। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৭ মার্চে শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০.১৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১১০ কোটি ডলারের ঋণের দিকে চেয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে ওই ঋণ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে আইএমএফ। তার মধ্যে একটি হলো পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর দামকে নির্দিষ্ট একটি অংকে রাখতে হবে। পাকিস্তান অবশ্য অভিনব একটি পরিকল্পনা নিয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট অংকের বেশি আয় করলে ধনী ব্যক্তিদের পেট্রল-ডিজ়েল কিনতে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে। শুল্কবাবদ গৃহীত ওই টাকা ভর্তুকি হিসেবে জনকল্যাণমূলক নানা প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন
আইএ/ ২৬ মার্চ ২০২৩