জেরুসালেম, ২৫ মার্চ – ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন বা হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া (হামাস) ঘোষণা করেছে যে, আল-আকসা মসজিদ থেকে ইসরাইলের দখলদারিত্বের অবসান না হওয়া পর্যন্ত তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
প্যালেস্টাইনিয়ান ইনফরমেশন সেন্টার নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার হামাসের গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান আলী আল-আমুদি অবরুদ্ধ গাঁজা উপত্যকায় একথা বলেন।
অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং আল-কুদস শহরে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে আয়োজিত এক সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় আল-আকসা মসজিদ মুক্ত করার আহবান জানান আমুদি।
তিনি বলেন, আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাধীনভাবে ইবাদত করতে না পারবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লড়াই থামবে না।
ইসরাইলি সরকার এবং তার বসতি স্থাপনকারীদের উস্কানির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ইসরাইলি প্রশাসন আল-কুদস শহরে ফিলিস্তিনিদের পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে একটি ধর্মীয় যুদ্ধ চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সমস্ত (ফিলিস্তিনি) ফ্রন্ট ফিলিস্তিনজুড়ে এখন আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ।
ইরানের পার্সটুডে বলছে, ১৯৪৮ সালে আমেরিকা ও বৃটেনের সমর্থন নিয়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের মাধ্যমে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তারপর ১৯৬৭ সালের যুদ্ধসহ বেশ কয়েকবারের আগ্রাসনে ইসরাইলি সরকার ফিলিস্তিনের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নেয়। তবে হামাসের মতো সশস্ত্র সংগঠনের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে ২০০৫ সালে গাঁজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় ইসরাইল।
আল-আকসা মসজিদ হচ্ছে মুসলমানদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। এটি ফিলিস্তিনের আল-কুদস শহরে অবস্থিত। ইসরাইল প্রায় নিয়মিতভাবে আল-আকসা মসজিদ কমপাউন্ডে হামলা চালায়।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৫ মার্চ ২০২৩