এথেন্স, ০৩ মার্চ – গ্রীসের উত্তরে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতের আগে দেশটির লারিসা শহরের কাছে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস এ দুর্ঘটনার জন্য মানবিক ত্রুটিকে দায়ী করেছেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন দেশটির অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। খবর বিবিসির
এদিকে রেলের কর্মচারীরা সরকারকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। এ ঘটনায় এথেন্স এবং থেসালোনিকিতে ২ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছে।
এথেন্সের পেনশনভোগী এক কর্মচারী স্ট্যাভ্রস নান্টিস বলেন, ‘আমরা কোম্পানির প্রতি এবং সরকারের উপর ক্ষুব্ধ। তারা গ্রীক রেলওয়ের অবস্থার উন্নতির জন্য কিছুই করেনি।’
উদ্ধারকর্মীরা এখনও পোড়া এবং রেলের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিখোঁজদের খোঁজ করছেন।
উদ্ধারকারী কনস্টান্টিনোস ইমানিমিডিস বলছেন, এটা খুবই কষ্টদায়ক পরিস্থিতি। আমাদের জীবন বাঁচানোর পরিবর্তে মরদেহ উদ্ধার করতে হবে।
জানা গেছে, প্রায় ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে একটি ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনটির প্রথম দুটি বগিতে আগুন ধরে যায়। এতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বাগি দুটি।
এদিকে, গ্রিসের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।
ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে জীবন বাঁচিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী স্টারজিওস মিনেনিস। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলছিলেন, ‘আমরা একটা বিকট শব্দ শুনতে পাই। ট্রেনের কামরার মধ্যে আমরা গড়াগড়ি খাচ্ছিলাম। তারপর এটি (বগি) গড়িয়ে একদিকে থামলো। তারপর সবার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হলো। চারিদিকে তার ঝুলছে, আগুন। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে গিয়েছিল। আমরা আগুনে পুড়ে যাচ্ছিলাম।’
সূত্র: সমকাল
এম ইউ/০৩ মার্চ ২০২৩