আঙ্কারা, ২৭ ফেব্রুয়ারি – শতাব্দীর ভয়াবহতম ভূমিকম্পে অর্ধলক্ষাধিক প্রাণহানির ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই তুরস্কে আরও একবার আঘাত হানলো প্রাণঘাতী ভূকম্পন। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাঝারি মাত্রার এ ভূমিকম্পে দেশটির মালাতিয়া প্রদেশে একজন নিহত এবং অন্তত ৬৯ জন আহত হয়েছেন।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (আফাদ) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪ মিনিটে দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ইয়েসিলিউর্ট জেলা থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ২ বলে জানিয়েছে। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
আফাদ প্রধান ইউনুস সিজার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এবারের ভূমিকম্পে একজন নিহত এবং ৬৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পটিতে নতুন করে আরও কিছু ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল।
এদিন ভূমিকম্পের পরপরই রাস্তায় বেরিয়ে আসেন আতঙ্কিত বাসিন্দারা। তবে তাদের ভেঙে পড়া স্থাপনা থেকে দূরে থাকতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে প্রবেশ না করতে পরামর্শ দিয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
এদিন মালতিয়া ছাড়াও কাহরামানমারাস, গাজিয়ানটেপ, আদিয়ামান, শানলিউরফার মতো আশপাশের প্রদেশগুলোতে ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ফের ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয় ওই অঞ্চলে। এতে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্কের দক্ষিণ এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল।
এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।
তুর্কি কর্তৃপক্ষের হিসাবে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ২১৮ জনে। আর সিরিয়ার সরকার ও উদ্ধারকারী সংগঠনগুলোর তথ্য বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে ভূমিকম্পের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫ হাজার ৯১৪ জন।
সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩