নেপিডো, ১৪ জুন – মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে দুই বছর ধরে ক্ষমতায় আসে সামরিক শাসন। এরপর থেকেই জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তু্লে বেশ কিছু গোষ্ঠী। আর দুই পক্ষের হাতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ২০ মাসে প্রাণ গেছে ৬ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিকের।
মঙ্গলবার অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক কারণে ৬ হাজার ৩৩৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২ হাজার ৬০১৪ জন। এরমধ্যে ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যকার সংঘর্ষে।
গণমাধ্যম, স্থানীয় সংস্থা ও বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ বিশ্লেষণ করে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরেও অনেকে নিহত হয়েছেন।
পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের দাবি, সংঘাতে মৃত্যু আগের চেয়ে বেড়েছে। জান্তা দেশটিতে হত্যাকারী বাহিনীতে রূপান্তর হয়েছে। তাদের হাতে প্রতিনিয়ত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।
সেনা অভিযান কিংবা বিদ্রোহীগুলোর সঙ্গে সংঘাতে বেসামরিক নাগরিক নিহতের প্রকৃত সংখ্যা কত তা নিয়ে বরাবরই মুখ খুলতে নারাজ জান্তা বাহিনী। উল্টো বিভিন্ন সংস্থা এবং গণমাধ্যমে দেয়া নিহতের সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে আসছে তারা।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে দেশটির জান্তা সরকার। এরপর জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিরোধ গড়ে তোলে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। এদের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই জান্তা সেনাদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে দেশটির সাধারণ মানুষও। তবে আন্দোলন দমনে শুরু থেকেই ব্যাপক নির্যাতন চলেছে তাদের ওপর। বাড়িঘরে আগুন দিয়ে গৃহহীন করা হয়েছে অনেককে। এমনকি সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের সময় অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/১৪ জুন ২০২৩