নয়াদিল্লী, ৩১ জানুয়ারী – মঙ্গলবার ভারতে বাজেট অধিবেশনের সূচনা করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এ সময় তিনি বলেছেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত ভারত গড়বে এই সরকার। গত ৯ বছরে একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে শত্রুদের মোক্ষম জবাব দিয়েছে সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে দিচ্ছে ভারত। আগামী দিনে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে এটিই ভারতের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। গত দুই বছর কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ায়নি সরকার। তাই অধীর আগ্রহে নির্মলা সীতারমণের বাজেট পেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভারতবাসী।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, শুধু দেশবাসীর স্বার্থেই বাজেট তৈরি করবে কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতির ভাষণেও একই কথা শোনা গেল। তিনি বলেছেন, ‘দরিদ্র দেশবাসীর সমস্যা সমাধান ও তাদের ক্ষমতায়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমান সরকার যে গরিবদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তার প্রমাণ হলো পি এম গরিব কল্যাণ যোজনার মতো একাধিক প্রকল্প।’
গত ৯ বছরে সরকারের হাত ধরে কিভাবে এগিয়েছে দেশ, সেই বিষয়টি নিজের ভাষণে তুলে ধরেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, ‘বর্তমান ভারত আত্মবিশ্বাসী। দেশকে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে সারা বিশ্ব। আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানও বাতলে দিচ্ছে ভারত। কারণ নির্ভয় ও শক্তিশালী সরকারের হাত ধরেই নতুন স্বপ্ন দেখছে ভারত। সমস্যা মেটাতে শর্টকাট নয়, স্থায়ী সমাধান করেছে এই সরকার।’
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আরো বলা হয়, ‘কভিডের সময় সারা বিশ্ব যেখানে সংকটের মধ্যে পড়েছে, ভারত তখন সেই সমস্যা মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের মধ্যেও দেশবাসীর হাতে ২৭ লাখ কোটি রুপি তুলে দেওয়া হয়েছে। যেন অতিমারির সময়ে তাদের খাদ্যসংকটে পড়তে না হয়। সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্তভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।’
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
এন এ/ ৩১ জানুয়ারী