শিরোনাম ::
কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশী আহত, পতাকা বৈঠক রিমান্ড শেষে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ও এমপি জ্যাকব কারাগারে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা নিয়ে মুখ খুললেন সালমান মুরগির বাচ্চায় প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা ‘লুট’, খামার বন্ধের হুঁশিয়ারি সংবিধানে উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ রাখাসহ আরও যেসব প্রস্তাব বিএনপির কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলবে বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারে অপহরণ ও ধর্ষন মামলায় পিতাসহ ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন চকরিয়ার দায়িত্ববার নিয়েছেন নবাগত ইউএনও আতিকুর রহমান, বিদায়ী ইউএনও কক্সবাজারস্থ শরনার্থী কমিশনে চকরিয়ায় সুরাজপুরে সড়কের উপর বন্যহাতির আক্রমণে দুই পথচারী আহত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম-এনরুট কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন, চাকরিতে পূর্ণবহালসহ চার দফা দাবি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

১৮ বছর ধরে ঘুমের দেশে সৌদির ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩
১৮ বছর ধরে ঘুমের দেশে সৌদির ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’


রিয়াদ, ২৭ জুলাই – মাত্র ১৮ বছর বয়সে রিয়াদে একটি সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হন সৌদির এক রাজপুত্র। নাম আল ওয়ালিদ বিন খালিদ বিন তালাল আল সৌদ। সেসময় দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম ওয়ালিদকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, মস্তিষ্কে চোট লাগার কারণে তিনি কোমায় চলে গিয়েছেন। ২০০৫ সাল থেকে ওয়ালিদের এখন পর্যন্ত কোনো রকম উন্নতি হয়নি। তার দীর্ঘ ১৮ বছরের লড়াই এখনও চলছে। বিশ্বের কাছে তিনি পরিচিত ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ হিসাবে।

তবে চিকিৎসকেরা ওয়ালিদকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার সব আশা ত্যাগ করলেও, তার বাবার আশা ‘ছেলে এক দিন ঠিক সুস্থ হয়ে উঠবে’।

যুবরাজ ওয়ালিদ সৌদি রাজ পরিবারের সদস্য খালিদ বিন তালাল আল সৌদের ছেলে এবং সৌদি ধনকুবের ব্যবসায়ী আলওয়ালিদ বিন তালালের ভাইপো।

খালিদ এক বার বলেছিলেন, চিকিৎসকেরা আমার ছেলের লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করে দিতে বলেছিল। আমি বলেছিলাম, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ছেলের কবর দিতাম। কিন্তু আমার ছেলে যতক্ষণ নিশ্বাস নেবে তত ক্ষণ আমি চিকিৎসা চালিয়ে যাব।

খালিদ মনে করেন, এক দিন ঠিক ‘অলৌকিক’ কোনও ঘটনা ঘটবে এবং তার ছেলে কোমা থেকে বেরিয়ে সুস্থ হয়ে উঠবেন। শুধু খালিদ নন, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থাকা সৌদি রাজপরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই ওয়ালিদের লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করতে রাজি নন।

রিয়াদের একটি হাসপাতালে ১১ বছরের শুশ্রূষার পর ২০১৬ সালে ওয়ালিদকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি নিজের বাড়িতেই লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

ওয়ালিদকে দেখভাল করার জন্য জনা দশেক কর্মচারী রাখা হয়েছে সৌদি রাজপরিবারের তরফে। এর জন্য খরচ হয় কোটি কোটি টাকা।

সামাজিক মাধ্যমে এক বার গুজব রটে, ওয়ালিদ আর জীবিত নেই। বেশ কয়েক বছর আগেই নাকি তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের তরফে এই কথা গুজব বলে অস্বীকার করা হয়।

উল্লেখ্য, ওয়ালিদের বাবা খালিদের জীবনও বিভিন্ন বাধায় পরিপূর্ণ। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার অভিযোগে ২০১৭ সালে ডিসেম্বরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়ে ২০১৮ সালের নভেম্বরে তাকে মুক্তি দেয় সরকার।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৭ জুলাই ২০২৩

 





আরো খবর: