একতা কাপূরের ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’ ধারাবাহিকের ঊর্বশী ঢোলাকিয়া অভিনীত খলচরিত্র কমলিকা বসুকে আজও মনে রেখেছেন দর্শক। পর্দায় কমলিকা সব সময়ই পরিকল্পনা করতেন অন্যের জীবনের শান্তি ছিনিয়ে নেওয়ার।
কিন্তু বাস্তবের কমলিকার জীবন পুরো উল্টো। তিনি নিজেই যন্ত্রণার শিকার। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন এই অভিনেত্রী।
সাক্ষাৎকারে ঊর্বশী জানিয়েছেন, বাড়ির অমতে মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করেন তিনি। তখনও স্কুলের গণ্ডি শেষ হয়নি তার। এক বছর পর মাত্র ১৭ বছর বয়সে ঊর্বশী যমজ সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি।
বিয়ের পর থেকেই চলত মানসিক নির্যাতন। যে কারণে এক বছরের মধ্যেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অভিনেত্রীর বয়স তখন কেবল ১৮ বছর।
যে বয়সে নিজে স্কুলে পড়ার কথা সেই বয়সেই ঊর্বশীর ঘাড়ে দুই সন্তানের দায়িত্ব। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিচ্ছেদ সবসময়ই অত্যন্ত বেদনার।’
মাত্র আঠেরো বছর বয়স থেকেই সিঙ্গেল মাদার তিনি। দুই ছেলে সাগর আর ক্ষিতীশকে মানুষ করতে হয়েছে। দুই ছেলে কি কখনও বাবার কথা কিংবা তার বিবাহবিচ্ছেদের কথা জিজ্ঞেস করে?
ঊর্বশীর সাফ উত্তর, ‘না, ওরা পরিষ্কার বলে দিয়েছে যে এ বিষয়ে কোনও কথা ওরা জানতে চায় না।’