কুমিল্লা, ০৮ ডিসেম্বর – স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ১১৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদের মালিক। বছরে চার কোটি টাকার বেশি আয় করেন তিনি। কুমিল্লা-৯ (লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ) আসনে তিনি তিনবারের সংসদ সদস্য। এবারও এ আসনে নৌকার প্রার্থী। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে তাঁর সম্পদের এ তথ্য পাওয়া যায়।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি তাজুল ইসলাম হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তিনি এমবিএ পাস। সম্পদ যা রয়েছে সবই তাঁর নিজের; স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামে কিছু নেই। তাঁর হাতে এবার নগদ আছে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৭০ টাকা, আর আগের নির্বাচনের সময় ছিল ১ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় বছরে ১৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আয় করলেও এখন আয় করেন ৪ কোটি ১৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে আসে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১৪ লাখ ২৪ হাজার, কৃষি থেকে ৩ লাখ ৩৫ হাজার এবং বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। এ ছাড়া সংসদ সদস্য ভাতা পেয়েছেন ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ও পোলট্রি খাত থেকে আয় করেন ৫১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
মন্ত্রী তাজুল ইসলামের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৯৭ কোটি ১৩ লাখ ৩ হাজার টাকার। এর মধ্যে ৮ কোটি টাকার রয়েছে বন্ড। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শেয়ার রয়েছে ৫ কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার টাকার। তাঁর স্বর্ণালংকার রয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার টাকার, যা তাঁর স্ত্রীর নয়। তাঁর বাস, ট্রাক ও মোটরগাড়ি রয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকার। এর বাইরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৫৮ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস, সঞ্চয়পত্র আছে ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার।
এ ছাড়া তাঁর স্থাবর সম্পদ রয়েছে ২১ কোটি ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার। এর মধ্যে কৃষিজমি ১ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫২ টাকার এবং আবাসিক-অনাবাসিক দালান ২০ কোটি ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১১৮ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকার মালিক তিনি। এর বাইরে বাড়ি ভাড়া বাবদ অগ্রিম নেওয়া ৪ কোটি ৯ লাখ টাকা রয়েছে তাঁর, যা ফেরতযোগ্য এবং দায়-দেনা হিসেবে হলফনামায় দেখানো হয়েছে।
সূত্র: সমকাল
আইএ/ ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩