সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
দলীয় নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার মানুষের ফুলেল ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান।
যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম ও ফ্রান্সে ১১দিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছলে নগর পিতাকে বরণ করে নেন কয়েক হাজার জনতা।
এসময় বিমানবন্দরের ভেতরে বাইরে হাজারো মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ব্যানার, ফ্যাস্টুন আর প্লেকার্ড হাতে নেতাকর্মীদের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে এয়ারপোর্ট প্রাঙ্গন। শুধু তাই নয়, জনপ্রিয় এই জনপ্রতিনিধিকে বরণ করতে রাস্তার দু’পাশে লাইনে দাঁড়ান শত শত নারী। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীরাসহ নগর পিতাকে শুভেচ্ছা জানান জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ ও কক্সবাজার পৌর পরিষদসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক হাজার নারী পুরুষ।
এসময় জনতার ভালবাসায় সিক্ত মেয়র মুজিব অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়তে দেখা যায়।
এর আগে ২৭ জুন বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি।
সফরকালে বাংলাদেশে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসহ যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের দেয়া গণসংবর্ধনায় যোগ দেন মেয়র মুজিব।
একই সাথে সরকারি প্রশিক্ষণ ছাড়াও যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাঙালীদের দেয়া সংবর্ধনা এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়রের দেয়া আলাদা সংবর্ধনায় যোগ দেন কক্সবাজারের নগর পিতা।
পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের বার্কিং কাউন্সিলের লিডার ড্যারেন রড ওয়েলের আমন্ত্রনে বার্কি টাউন হল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এসময় মেয়রকে স্বাগত জানান এসেম্বিলি মেম্বার ফর সিটি এন্ড ইষ্টি উমেস দেসাই ও বার্কিং কাউন্সিলের লিডার ড্যারেন রড ওয়েল।
এরপর মেয়র মুজিবুর রহমানকে লন্ডন বারো অফ বারকিং এন্ড ডেগেনহাম কাউন্সিল টাউন হল ঘুরিয়ে দেখান। সেখানে রাষ্ট্রীয় রীতি অনুযায়ী মেয়র মুজিবুর রহমানকে গাউন পরিয়ে দিয়ে বিশেষ সম্মান জানানো হয়।
সবশেষে দেশের ফেরার আগে রানী এলিজাবেথ এর বাসভবন ঘুরে দেখেন মেয়র মুজিব।
সারাদেশের ৩২৮টি পৌরসভার মধ্যে কক্সবাজারের মেয়রসহ ৮টি প্রথম শ্রেণীর বিশেষ পৌরসভার মেয়র রাষ্ট্রীয় এই সফরে অংশ নেন।
আর ব্যতিক্রমী এই ৫ দেশ সফরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিদেশের আদলে কক্সবাজারকে গ্রীণ সিটি হিসেবে গড়ে তোলা এবং এখানকার পর্যটন শিল্পের অমূল পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন মেয়র মুজিবুর রহমান।