ইমরান আল মাহমুদ:
১১টি ক্যাম্পে মাদক,অস্ত্র ও সন্ত্রাস রোধে কঠোর অবস্থানে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। দেশী-বিদেশী অস্ত্র,ইয়াবা,অবৈধ স্বর্ণালংকার, মিয়ানমারের মুদ্রা সহ গত একবছরে ৪৭৮জন সন্ত্রাসী আটক করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত স্থানীয় ও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় ৮এপিবিএন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার(১৯ জানুয়ারি) দুপুরে উখিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ৮এপিবিএন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান।
তিনি বলেন” ক্যাম্পে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের নিরাপত্তার দায়িত্বে ৮এপিবিএন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক,অস্ত্র সহ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিগত এক বছর ধরে সফলতার সহিত ৮এপিবিএন দায়িত্ব পালন করে আসছে। এতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।”
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান আরও বলেন,” সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পে যেকোনো দুর্যোগময় মুহুর্তে সবার আগে দায়িত্বরত এলাকায় কিছু হলে তাৎক্ষণিক ৮এপিবিএন সাড়া দেয়। অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানোর ফলে নিরাপদে মানুষ সরে আসতে পারে। ভবিষ্যতেও এটার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে ৮এপিবিএন।”
মতবিনিময় সভার শুরুতে বিগত এক বছরের কার্যক্রম নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন ৮এপিবিএন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(মিডিয়া) মো. কামরান হোসেন। তিনি বলেন” রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দায়িত্বরত ১১টি ক্যাম্পে ৮টি ফায়ার আর্মস,২৬রাউন্ড গোলাবারুদ ১৩২টিদেশীয় অস্ত্র ৯০৮.৮২গ্রাম অবৈধ স্বর্ণলংকার,অবৈধ ৫৮লাখ ৬হাজার ৮০টাকা ৫০হাজার টাকার জালনোট,৩লাখ ৩৫হাজার ১৮৫কিয়াত মিয়ানমারের মুদ্রা, ৮লাখ ৬৬হাজার ৫শ ৮৩পিস ইয়াবা,২৮৯ গ্রাম ইয়াবার গোড়া(পাউডার),১১দশমিক ৩০লিটার অ্যালকোহল,১কেজি ১৪গ্রাম গাঁজাসহ তালিকাভুক্ত ৪৭৮জন সন্ত্রাসী আটক করা হয়।”
তিনি আরও বলেন,”স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে ৮এপিবিএন সর্বদা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সম্প্রতি কক্সবাজার বিমানবন্দর ও কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পের দায়িত্বও ন্যস্ত করা হয়েছে। ১১ টি ক্যাম্পের ৬৪টি ব্লক ৭৭৩টি সাব ব্লকে আশ্রিত ৭৫হাজার ৯শ ৩০টি বাড়ির ৩লাখ ৬২হাজার ২শ ১৮জন রোহিঙ্গার নিরাপত্তায় ৮এপিবিএন বদ্ধপরিকর।”
মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের ৮এপিবিএন’র সম্মাননা কয়েন তুলে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান।