ঢাকা, ০৯ এপ্রিল – দেশের জনসংখ্যা কত, তা জানতে ১০ বছর অপেক্ষা করার পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসার পক্ষে মত দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। তারা দুইজনই বলেছেন, দেশ ডিজিটাল হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের পথে আমরা। তাই ১০ বছর পরপর ঘটা করে জনশুমারি করার মানে হয় না। এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এক বছরের মধ্যে দেশের জনসংখ্যার তথ্য প্রচারের উপায় বের করতে পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) নির্দেশ দেন তারা।
রোববার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মত দেন পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২– এর সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম উপস্থিত ছিলন। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বিআইডিএসের ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সাংবাদিকরা। সংবাদ সম্মেলনে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ এর প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন শুমারিতে গণনা করা এবং পিইসির মাধ্যমে সমন্বয় করা মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের যন্ত্র আছে, জ্ঞান আছে, জনবল আছে। সরকারি কর্মকর্তা আছে। তাহলে কেন জনসংখ্যার তথ্য জানার জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে? জনশুমারির পেছনে কেন দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করবো? এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এসময় নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্কের মতো দেশগুলো কীভাবে জনসংখ্যার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে, তা পর্যালোচনা করতে বিবিএসকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নেওয়ার কথাও বলেন।
একই সুরে কথা বলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডসে এক বছরের মধ্যে জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশ করা হয়। ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও তা-ই হচ্ছে। আমাদের দেশেও এক বছরের মধ্যে জনশুমারির তথ্য প্রকাশ করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দেন তিনি। ঘটা করে জনশুমারি করার ধারা থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০৯ এপ্রিল ২০২৩