শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী


নয়াদিল্লি, ০৬ মে – স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার পর ছয় বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুমিরে ভরা একটি খালে ফেলে দেন সাবিত্রি (৩২) নামক এক নারী। পরের দিন ঐ শিশুর অর্ধেক খেয়ে ফেলা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হালামাদি গ্রামে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩২ বছর বয়সী সাবিত্রী মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। তার স্বামী রবি কুমার (৩৬) পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাদের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলের নাম বিনোদ কুমার। বোবা ও বধির বিনোদকে নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সাবিত্রির সঙ্গে ঝামেলা করতেন রবি। এমনকি স্ত্রী-সন্তানকে মারধরও করতেন তিনি।

সাবিত্রী পুলিশকে জানান, সন্তান বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার স্বামী তাকে ও তার সন্তানকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলতেন। তাছাড়া ছেলেকে খালে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলতে বলতেন তিনি। শনিবারও ছেলেকে নিয়ে ঝগড়া হওয়ার পর সাবিত্রী তার ছেলেকে উত্তর কন্নড় জেলার একটি খালে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেন, যেখানে কুমিরের বসবাস রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফায়ারসার্ভিসের লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও খালে তল্লাশি শুরু করেন। রাতভর তল্লাশি চলতে থাকে ও রোববার সকালে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়। তার ডান হাত ছিল না ও সারা শরীরে কামড়ের চিহ্ন ছিল, যার মাধ্যমে বোঝা যায় যে শিশুটি কুমিরের আক্রমণে মারা গেছে।

ঐ নারী বলেন, এ ঘটনার জন্য আমার স্বামী দায়ী। তিনি যদি সবসময় আমার ছেলেকে বলতে থাকেন যে, ও শুধু বসে বসে খায়। এমন ছেলে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়ায় ভালো। প্রতিদিনই যদি তিনি বিষয়টি নিয়ে আমাদের ওপর অত্যাচার করেন, তাহলে আমি কী করবো? আমার ছেলেও বা আর কত অত্যাচার সহ্য করবে? আমি কোথায় যাবো? আমার কষ্টটা একবার বোঝার চেষ্টা করে দেখুন।

সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ
আইএ/ ০৬ মে ২০২৪





আরো খবর: