কতকালের অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে যে পদ্মার দুকূলের মানুষের সামনে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সাধারণের যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতুর প্রবেশদ্বার।
পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিলো প্রায় ১৮ ঘণ্টা আগে। এবার গণমানুষের স্বপ্ন সত্যি করে অবশেষে আজ ভোর ৬টা থেকে গৌরবের পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হলো। এরই মাধ্যমে সহজ হলো ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ।
এর আগে শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১২টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে এ সেতুন ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এ সেতুর দ্বার।
যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাওয়া ও জাজিরা দুই প্রান্তের ১৪টি টোল গেট চালু হয়ে যায়। সবগুলো গেটেি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভাড়া আদায় হচ্ছে। নির্ধারিত টোল দিয়ে থ্রি হুইলার ছাড়া যেকোনো গাড়ি পার হতে পারছে পদ্মা সেতু দিয়ে।
সরকারের নির্ধারণ করা টোল হার অনুযায়ী, ছোট বাসে ১৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে ২০০০ টাকা এবং বড় বাসে ২৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। ছোট ট্রাকের টোল ১৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে ২১০০-২৮০০ টাকা, বড় ট্রাকে ৫৫০০ টাকা। পিকআপের টোল ১২০০ টাকা। কার ও জিপের টোল ধরা হয়েছে ৭৫০ টাকা, মাইক্রোবাসে ১৩০০ টাকা এছাড়া মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা।
আজ ভোর ৬টায় যান চালু হওয়ার পর থেকে নির্ধারিত টোল দিয়ে থ্রি হুইলার ছাড়া যেকোনো গাড়ি পার হতে পারছে পদ্মা সেতু দিয়ে।
৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হল। এই ২১টি জেলার মাওয়া রুট ব্যবহারকারী বাসসহ যানবাহনগুলো এতদিন ফেরিতে পারাপার হত। এখন থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে চলবে।