নয়াদিল্লি, ২৪ এপ্রিল – এক মাসেরও বেশি সময় আড়ালে থাকার পর শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করলেন পাঞ্জাবের কট্টরপন্থি নেতা অমৃতপাল সিং। স্ত্রীকে বাঁচাতেই কি তার এই আত্মসমর্পণ?
রোববার সকালে পাঞ্জাবের মোগা জেলার রোডে গ্রামটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে পাঞ্জাব পুলিশ।
তাদের কাছে খবর ছিল, পলাতক খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং লুকিয়ে আছেন এই গ্রামেই।
রোডে গ্রামটি খালিস্তানি আন্দোলনের জনক জার্নেইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের জন্মস্থান। গত বছর এই গ্রামেই আয়োজন করা হয়েছিল অমৃতপাল সিংয়ের ‘দস্তরবন্দি’, এর পর তিনি ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দি’ গোষ্ঠীর নতুন নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
সেই দস্তরবন্দির প্রায় সাত মাস পর রোডে গ্রামের গুরদোয়ারাতেই তিনি শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন।
অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপ কাউর ব্রিটিশ নাগরিক। গেল ফেব্রুয়ারিতে তিনি বিয়ের জন্য ভারতে আসেন। আগামী জুলাইয়ে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, অমৃতপাল সিং প্রথমে তার স্ত্রীকে যুক্তরাজ্যে পাঠাতে চেয়েছিলেন। তারপর অন্য দেশে পালানোর পরিকল্পনা ছিল তার।
কিরণদীপ সম্প্রতি অমৃতসর থেকে লন্ডনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে যেতে দেয়নি। অমৃতপাল পলাতক হওয়ার পরই কিরণদীপের ওপর নজর রাখছিল পুলিশ।
এরপরই মতবদল করেন অমৃতপাল। স্ত্রী যাতে নিরাপদে ফিরতে পারেন, সেই জন্য আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। এমনটিই বলছে সূত্র।
আত্মসমর্পণের পর অমৃতপাল সিংকে আসামের ডিব্রুগড়ের সুরক্ষিত জেলে নেওয়া হয়েছে। এই জেলে তার আট ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে গত মাস থেকেই গ্রেপ্তার করে ওই জেলে রাখা হয়েছে।
অমৃতপালের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা, অপহরণ এবং জোর করে টাকা তোলার মতো অভিযোগে মামলা রয়েছে। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, অমৃতপাল পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে পাঞ্জাবকে সাম্প্রদায়িক দিক থেকে ভাগ করার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি তিনি খালিস্তান আন্দোলন ফিরিয়ে আনতে চাইছেন।
সূত্র: বাংলানিউজ
এম ইউ/২৪ এপ্রিল ২০২৩