প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কঠোর নির্দেশনার পর থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন রক্ষায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় সেন্ট মার্টিনগামী পর্যটকবাহী তিনটি জাহাজ ও দুটি রিসোর্টকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন হক অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন। রান্নার ময়লা-আবর্জনা সমুদ্রে ফেলার অভিযোগে তিনটি জাহাজকে ৬০ হাজার টাকা এবং সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় দুটি হোটেলের মালিককে ৬০ হাজার জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, প্রবাল দ্বীপ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিদের্শনা পাওয়ার পর থেকে দ্বীপে যৌথভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে চলাচলকারী সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহজ থেকে রান্নার ময়লা-আবর্জনা ও চিপসের প্যাকেট সমুদ্রে ফেলার দায়ে তিনটি জাহাজকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেন্ট মার্টিন রক্ষায় সরকারের যে ১৩টি নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো বাস্তাবায়নে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সেন্ট মার্টিনে দায়িত্বে থাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন হক বলেন, পর্যটকবাহী জাহাজ থেকে ময়লা ফেলার অভিযোগে এমভি পারিজাত, এম ভি ফারহান ও বে ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজকে ২০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও পরিবেশ আইন অমান্য করায় কিংশুক ইকো বিচ রিসোর্টের মালিককে ৫০ হাজার টাকা এবং প্রবাল তুলে সীমানার কাজে ব্যবহার করায় আরও একটি রিসোর্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ বেশ কিছু মালামাল জব্দ করা হয়েছে।