সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সেই সার্জেন্টের মামলা নিয়েছে পুলিশ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১
সেই সার্জেন্টের মামলা নিয়েছে পুলিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বনানীতে গাড়ি চাপায় বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং আহতের ঘটনায় তার মেয়ে সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের মামলা না নেয়ার ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মধ্যে অবশেষে ১৪ দিন পর মামলাটি নিয়েছে পুলিশ। তবে এই মামলায় তিনজনকে আসামি করা হলেও কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।


বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার পরই আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু যাচাই করার প্রয়োজন ছিল। আমরা যাচাই-বাছাই করে মামলা নিয়েছি। রাজধানীর বনানী থানায় এ মামলাটি নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।


এ ব্যাপারে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম মিয়া বলেন, আজকেই মামলা রুজু হয়েছে। মামলা নম্বর ২৫। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।


অন্যদিকে, আমরা আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করেছি। মধ্যরাতে মনোরঞ্জন হাজং মোটরসাইকেলে উল্টোপথে এসে চেয়ারম্যানবাড়ি ইউলুপের ওখানে দাঁড়ান। তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। আমরা মামলা নিয়েছি। গাড়িটি কে চালাচ্ছিলেন, কীভাবে দুর্ঘটনাটি হলো, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।


প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানবাড়ি ইউলুপে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গাড়ির ধাক্কায় মারাত্মক আহত হন মনোরঞ্জন। ওই দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারের চালক যুবককে আটক করেও ছেড়ে দেয় পুলিশ। সেই যুবক এক বিচারপতির ছেলে বলে গণমাধ্যমে এসেছে। তবে তার নাম কী, সেটি প্রকাশ পায়নি।


অন্যদিকে, বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জনের ডান পা প্রথমে গোড়ালি পর্যন্ত, পরে সংক্রমণ হওয়ায় হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে। মনোরঞ্জন আগে থেকেই হার্টের রোগী। এই অবস্থায় এ দুর্ঘটনার ধকল তিনি নিতে পারছেন না। তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।


এছাড়া, মামলা করতে একাধিকবার চেষ্টা করেও সফল হননি মনোরঞ্জনের মেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং। একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়েও মহুয়া তার বাবার দুর্ঘটনার মামলা দায়ের করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন। মহুয়া হাজং তার মামলার আবেদনে সেই যুবকের নাম উল্লেখ করার পর তাকে নামটি কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয় থানা থেকে। কিন্তু মহুয়া তাতে রাজি ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত কারও নাম ছাড়াই মামলাটি করা হয়। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।


সান নিউজ/এমকেএইচ




আরো খবর: