ঢাকা, ০১ আগস্ট – ইউরোপের দু’দেশ সুইডেন ও ডেনমার্কে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কোরআন অবমাননা এবং পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ভাচ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত বিশেষ অধিবেশনে এই নিন্দা জানান তিনি।
সোমবার (৩১ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তি, সমৃদ্ধি ও ভ্রাতৃত্ববোধের ধর্ম। কোরআন ও হাদিসের মাধ্যমে মানুষের জীবন-জীবিকার নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। যা পুরো মানবজাতির জন্য ন্যায়সঙ্গত, সম্মানজনক ও সমমর্যাদার।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ধর্মনিপেক্ষ দেশ। যেসব মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেছে, তার মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ অন্যতম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম এমন কথা উচ্চারণ করেন, যা আমাদের সংবিধানেও যুক্ত করা হয়েছে।
বাকস্বাধীনতার ছুতোয় মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতীক ও মূল্যবোধকে অবমাননার মতো ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মান, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে অযৌক্তিক উসকানি বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
অজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে সুইডেন ও ডেনমার্কে এসব ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড ঘটে বলে মত দেন বাংলাদেশের শীর্ষ এই কূটনীতিক। ইসলামকে ঘিরে যে ভুল বোঝাবুঝি আছে, তা দূর করতে পবিত্র কোরআনের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরতে তিনি ওআইসি সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
পারস্পরিক বোঝাবুঝি ও সহনশীলতা বাড়াতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিও তিনি জোর দেন। এ সময়ে ভবিষ্যতে এ রকম নিন্দনীয় ঘটনার অবসানে দেশগুলোর মধ্যে সংলাপ ও যোগাযোগ বাড়াতেও উৎসাহ দেন মোমেন।
ওআইসির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে দেশদুটিতে পবিত্র কোরআন পোড়ানো ও অবমাননার বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। পাশাপাশি আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলিদের অনুপ্রবেশের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
দেশ দুটির এমন নিন্দনীয় ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ওআইসি বিশেষ অধিবেশন ডাকায় সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ০১ আগস্ট ২০২৩