আজও গুলির শব্দ, আতঙ্ক কাটছে না সীমান্তে
সীমান্তের উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। দিনদিন বাড়ছে অস্থিরতা ও আতঙ্কে কাটছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের। সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল ৪ টা অবধি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু ও উখিয়ার পালংখালী আঞ্জুমান পাড়া সীমান্তে বেশ কয়েকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে আতঙ্কে রয়েছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
ঘুমধুমের বাসিন্দা আবদুল হামিদ জানান, সকাল থেকে এই পয়েন্টে গোলাগুলি শুরু হয়। সকাল-বিকেল পর্যন্ত থেমে অন্তত ১১ বার ভারি গোলা শব্দ পাওয়া গেছে।
তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকার বাসিন্দা কবির আহামদ ড্রাইভার জানান, এই তুমব্রু সীমান্ত বরাবর স্থানে সোয়া ১১টার দিকে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়। এক সাথে লাগাতার বারো তেরোটি গোলা বর্ষণ হয়েছে। শব্দ শুনে মনে হয়েছে মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সেই সাথে ব্রাশফায়ারের শব্দ শোনা যায়। তবে সীমান্ত থেকে অনেকটা ভেতরে এসব ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে উখিয়ার পালংখালীর আঞ্জুমান পাড়া সীমান্তেও সকাল থেকে গোলাগুলি শুরু হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আঞ্জুমান পাড়া পূর্ব ফারির বিল এলাকার দোকানদার শুক্কুর আলম জানান, সকাল থেমে থেমে অন্তত ১৫ বারের মতো গোলা বর্ষণের শব্দ শোনা গেছে। এসব শব্দ বেশ দূর থেকে আসছে। যেখানে এ ধরনের গোলাগুলি হচ্ছে সেখানকার অবস্থা খুব খারাপ হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়৷
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, সকাল থেকে আঞ্জুমান পাড়া ও পূর্বফারিরবিল এলাকার একাধিক লোকজন গোলার শব্দ শুনতে পায় বলে জানা গেছে। গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের। বিশেষ করে শিশুরা ঘর থেকে বের হতেও ভয় পায়৷ মিয়ানমারের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও লড়াই রীতিমতো আমাদের জন্য আতঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
এ বিষয়ে জানতে বান্দরবান জেলা পুলিশের এসপি মো. তারিকুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দেয়া হলে, কল রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রায় দেড়মাস ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঘটছে ব্যাপক গোলাগুলি। সীমান্তের কাছে হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। ইতোমধ্যে ছোঁড়ে আসা মর্টারসেলের আঘাতে শূন্য রেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবক নিহত ও চারজন আহত হয়। এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়া মিয়ানমার থেকে ছোঁড়ে আসা অবিস্ফোরিত মর্টারশেলও পাওয়া গেছে