বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশীট অনুমোদন দুদকের

ডেস্ক নিউজ
আপডেট: বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার কমিশন চার্জশিটটির অনুমোদন দেয়।
চার্জশিটে বলা হয়, বৈধ উৎসের বাইরে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫১৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তিনি দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপ-রিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী শিগগির চার্জশিটটি আদালতে পেশ করবেন। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশেষ জজ আদালতে মামলাটির বিচার শুরু হবে।

দুদক সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগে সাহেদের বিরুদ্ধে মামলটি করা হয়েছিল চলতি বছরের ১ মার্চ। এই মামলা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের প্রমাণ মিলেছে।

জানা গেছে, এর আগে করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্টে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাহেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়, ওই মামলার চার্জশিটও আদালতে দেওয়া হয়। ওই মামলার আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করিয়েছেন।

অথচ প্রতি রোগীর কাছ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা অবৈধভাবে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। সবমিলে আত্মসাৎ করা হয় তিন কোটি ৩৪ লাখ ছয় হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়াও সাহেদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা আত্মসাত, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ প্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে। রিজেন্ট হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনার নামে জালিয়াতি করে এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দেড় কোটি টাকা ও ফারমার্স ব্যাংক থেকে ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আলাদা মামলা করা হয়েছে। সাহেদ করিম বর্তমানে জেলে আছেন।


আরো খবর: