সামাজিক সংহতি এবং বিকাশ, অহিংস এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়ে ধর্মীয় নেতা, তরুণ, নারী, মিডিয়া এবং সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং এর পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রকল্পের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড) এর ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর শিহাব উদ্দিন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড) এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ সাইফুদ্দিন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম কায়সার, মেম্বার আবুল হাসনাত আবুলু, নেজাম উদ্দিন দুলাল, উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির জুশান।
বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক বশির আহমেদ, সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল আজিজ ও সাংবাদিক শফিউল শাহীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক এ ধরণের অনুষ্ঠান প্রতিটি এলাকায় পরিচালনা করার জন্য আয়োজকদের প্রতি আহবান জানান এবং এব্যাপারে তিনি সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, সামাজিক সংহতি হলো নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতি ও ভালোবাসা। আমাদের সমাজে বহু ধর্ম, ভাষা ও জাতির লোক বসবাস করে। সমাজে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাব হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
তিনি আরও বলেন, মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিগন এ জীবনে যথাযথভাবে এগুলো অনুশীলন করে থাকবেন। ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। ভাতৃত্ববোধ মানুষকে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করে, মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। এরফলে মানব সমাজের ঐক্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয়।
অন্যদিকে সম্প্রীতি- ভাতৃত্ববোধ না থাকলে মানুষ একে অন্যকে ভালবাসে না। অন্যের কল্যাণ কামনা করে না। স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। তারা আসলে মানুষের চরিত্র বহন করে না।
এসময় স্থানীয় স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা, এনজিও কর্মী, স্থানীয় নারী-পুরুষসহ শেডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মাশালায় সামাজিক সম্প্রীতি, শান্তি ও সুরক্ষা কিভাবে রক্ষা করা যায় এ বিষয়ে মুক্ত আলোচনা হয়। মাদকের আগ্রাসন কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। শান্তি ও সুরক্ষা কিভাবে ভঙ্গ হয় এবং এগুলো কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া সমাজে যুবসমাজের ভূমিকা কি ও তাদের কিভাবে সমাজ উন্নয়নে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করা হয়।
কর্মশালাটি পরিচালনায় অর্থায়নে ছিলেন অষ্টেলিয়ান এইড, সহযোগীতায় ছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্রাক এবং বাস্তবায়নে ছিলেন সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড)।