জাকার্তা, ২৭ মার্চ – মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশ ও বাংলাদেশের টেকনাফের শরণার্থী শিবির থেকে ১৮৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক নৌপথে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। রোববার (২৬ মার্চ) গভীর রাতে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাগুলো পূর্ব আচেহ জেলায় পৌঁছায়।
জানা যায়, পূর্ব আচেহের পিউরেউলাক উপজেলার শহরের স্থানীয় বাসিন্দারা সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ এসে দেখতে পায়, অবৈধভাবে প্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯৪ জন পুরুষ, ৭০ জন নারী ও ২০টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র কামিল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৩ টার দিকে রোহিঙ্গারা এখানে পৌঁছান। ঠিক কতগুলো নৌকায় করে তারা পূর্ব আচেহতে এসেছেন তা জানা যায়নি। তারা সবাই শারীরিকভাবে সবাই সুস্থ রয়েছে।
মায়ানমারে প্রবলভাবে নির্যাতিত হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানরা প্রতি বছর দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল সমুদ্র ভ্রমণে, প্রায়ই নিম্নমানের নৌকায়, মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর প্রয়াসে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকে।
পিউরেউলাক উপজেলার প্রশাসক নাসরি বলেন, আমরা যখন এসব রোহিঙ্গাকে কূলে দেখতে পাই, তখন সমুদ্রে কোনো নৌকা ছিল না। শরণার্থীদের কয়েকজনকে শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল দেখা যায়। তারা সম্ভবত টানা কয়েকদিন না খেয়ে ছিলেন।
পূর্ব আচেহ’র সামাজিক বিষয়ক সংস্থা সাহারানির এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, অন্তত পাঁচ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদের আশ্রয়, খাবার ও চিকিৎসার জন্য স্থানী মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, তারা ইন্দোনেশিয়ায় নতুন আগত রোহিঙ্গাদের তথ্য সংগ্রহ করছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা শরণার্থীদের আশ্রয়ের বিষয়ে ইউএনএইচসিআর ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সাথে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।
ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ২ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। ঝুকিপূর্ণ এসব যাত্রায় গত বছর অন্তত ২০০ রোহিঙ্গা মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ২৭ মার্চ ২০২৩