শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ চকরিয়ার সাহারবিলের জেলে কমল সেন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া ::

সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে গত ২৩দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা জেলে কমল সেন। পরিবার সদস্যরা দাবি করেছেন, চুরি করে মাছ বিক্রির তথ্য ফাঁস হওয়ায় একই বোটের অন্য মাঝিমাল্লাদের হাতে খুনের শিকার হয়েছেন কমল সেন।৷ তাঁর মৃত্যুর খবরে পরিবারে আহজারিতে আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে উঠেছে। কমল সেন সাহারবিল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জলদাশ পাড়া এলাকার মৃত শুক্র মহন জলদাশের ছেলে।

নিখোঁজ জেলের পরিবার সদস্যরা জানান, চট্টগ্রামের বাশখালী উপজেলার বাংলাবাজার ডিয়ারীঘোনা গ্রামের বাসিন্দা ফিশিং বোট মালিক ছগির বহদ্দারের সাথে বেতন ভিত্তিক চুক্তিতে অন্যান্য জেলেদের সাথে গত ১ নভেম্বর সাগরে মাছ ধরতে যায় চকরিয়ার জেলে কমল সেন। অন্যান্য সময়ে সাগরে গেলে মোবাইলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পরিবারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।
কিন্তু গত ১৯দিনেও কোন খবর না পাওয়ায় কমল সেনের খবরা খবর নিতে গিয়ে গত ১৯ নভেম্বর জানতে পারেন ফিশিং বোটে অন্য জেলেদের সাথে কমল সেন নেই। তারা মাছ ধরতে যান কুতুবদিয়া থেকে আরো ৫ কিলোমিটার দুরে সাগরের “লাশের দ্বার” নামক এলাকায়। প্রবাদ রয়েছে, সেখান মাছ ধরতে গিয়ে অনেককে লাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়। উল্লেখিত কমল সেন সাগরে গিয়েছিল বাশখালী গন্ডাপাড়া এলাকার অজিত মাঝির অধীনে। সাথে ছিল আরো ১০জন মাঝিমাল্লা।

বাশখালী উপজেলার বাংলাবাজার ডিয়ারীঘোনা গ্রামের ছগির বহদ্দারের একই মালিকানাধীন অন্য ফিশিং বোটে মাছ ধরতে যান কমল সেনের আপন ভাই সুখদেব জলদাশ। আপন ভাই হওয়ায় একই বোটে তিনি থাকেননি।

পরিবার সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা খবর নিয়ে সূত্রে জানতে পারেন, জেলে কমল সেনের সাথে থাকা অন্যান্য মাঝিমাল্লারা আহরণকৃত কিছু মাছ চোরাই পথে বিক্রি করে দেন। বিষয়টি বোট মালিককে বলে দেয়ার কথা বলায় মাঝিমাল্লারা তাকে বোটের ভেতরে হত্যা করেছে । ধারণা করা হচ্ছে তাঁর মরদেহ এখনো ফিশিং বোটে থাকতে পারে। এ বিষয়ে বোট মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে শান্তনা মূলক কোন ব্যাখ্যা তিনি পরিবারকে দেননি।

পরিবার সদস্যরা জানান, আমরা কমল সেনকে জীবিত অথবা মারা গেলে লাশ ফেরত চাই। সংসারে স্ত্রী ও তিনটি অবুজ সন্তান রয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর কমল সেন নিখোঁজ রয়েছে, এই খবর শুনার পর থেকে পরিবারের সদস্য ও আত্বীয়স্বজদের কান্নায় আকাশ বাতাশ ভারি হয়ে উঠছে।

এ ঘটনায় পরিবার সদস্যরা বাশখালী থানায় গিয়েও কোন আইনী সেবা পাননি বলেও দাবি করেন। বর্তমানে উল্টো ফিশিং বোট মালিক বাশখালীর ছগির বহদ্দার নিখোঁজ কমল সেন এর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

এ অবস্থায় অসহায় পরিবার কমল সেনকে জীবিত ও মৃত হলে লাশ ফেরত পেতে নৌ মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, নৌবাহিনী, র্র্যাব, কোষ্টগার্ড,পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসন এবং মানবাধিকার সংস্থার জরুরী আইনী সহায়তা কামনা করেছেন।


আরো খবর: