কিয়েভ, ১৬ ডিসেম্বর – বাকবিতণ্ডার জেরে এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে নিজ সহকর্মীদের ওপর গ্রেনেড ছুড়ে মারলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের এক কাউন্সিলর। বদ্ধকক্ষে তিনটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটান তিনি।
আর গ্রেনেডগুলো বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে দেশটির পশ্চিম ট্রান্সকারপাথিয়ান অঞ্চলের কেরেটস্কিতে গ্রাম পরিষদের সদর দফতরে এই ঘটনা ঘটে।
কাউন্সিলর কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন, এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইউক্রেনের পুলিশ বলছে, এসবিইউ সিকিউরিটি সার্ভিস ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে তদন্ত করবে।
ঘটনাটি যখন ঘটে তখন বৈঠকটি ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিম করা হচ্ছিল। কাউন্সিলররা নতুন বছর ২০২৪ সালের জন্য তাদের বাজেটের পাশাপাশি এই বছরের আর্থিক ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া কাউন্সিলপ্রধানকে একটি বোনাস প্রদানের বিষয়ে ভোট গ্রহণের বিষয়ে উত্তপ্ত আলোচনা করছিলেন তারা।
৯০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, একজন কাউন্সিলর বাজেট নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন। এরপর অন্য একজনকে সঙ্গে নিয়ে রুম ছেড়ে চলে যান তিনি। কয়েক মিনিট পর তিনি ফিরে এসে দরজার সামনে দাঁড়ান। কিছুক্ষণ পর নিজের জ্যাকেটের পকেট থেকে বেশ কয়েকটি গ্রেনেড বের করেন ওই কাউন্সিলর।
এর পর ‘মে আই, মে আই?’ চিৎকার করে লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঘরের মাঝখানে গ্রেনেডগুলো ছুড়ে মারে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেগুলো বিস্ফোরিত হয়। এতে ২৬ জন আহত হন। যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এদের মধ্যে গ্রেনেড নিক্ষেপকারীকে গুরুতর অবস্থায় একটি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
কেরেটস্কি গ্রামে প্রায় ৪ হাজারের মতো মানুষ বসবাস করেন, হাঙ্গেরি সীমান্ত থেকে খুব দূরে নয় গ্রামটি।
সূত্র: বাংলানিউজ
আইএ/ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩