শিরোনাম ::
কারাগার থেকে চিঠি লিখলেন ব্যারিস্টার সুমন, কার উদ্দেশে? পেকুয়ায় ডাম্প ট্রাক- সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৫ ‘অস্ত্র’ হাতে বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল, আসল ঘটনা কী টিএসসিতে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন গুমের সাথে জড়িত ২০ সরকারী কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত, দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পরিবারসহ শেখ হাসিনার দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ কর্মকর্তা নিয়োগ আরো নতুন ৮০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে উখিয়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযুদ্ধা আবুল খায়েরের দাফন সম্পন্ন চকরিয়ায় ইট তৈরির মিক্সার মেশিনে পিষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু চকরিয়ায় আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

‘শ্বেতপত্র কমিটির কাজ চোরের বর্ণনা দেয়া, চোর ধরা নয়’

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪


ঢাকা, ০২ ডিসেম্বর – চোর ধরা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির কাজ নয় জানিয়ে কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের কাজ চুরির বর্ণনা দেওয়া।

বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরতে সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, শ্বেতপত্রে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দোষ খোঁজা নয়, দুর্নীতির পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। এই কমিটির কাজ চোর ধরা না, চুরির প্রক্রিয়া বর্ণনা করা।

তিনি বলেন, ৯০ দিনে আমরা নিজেরা ১৮ বার সভা করেছি। নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ২২ বার সভা করেছি। ১২ জন নামজাদা অর্থনীতিবিদ নিয়ে শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করা হয়েছিল। একটি প্রতিনিধিত্বশীল কমিটির মাধ্যমে এই শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান বলেন, কমিটির প্রতিটি সদস্য বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছেন। বিদেশি পরামর্শক এনে শ্বেতপত্র করা হলে অন্তত ২৫ কোটি টাকা খরচ হতো। দেশের জন্য নিঃস্বার্থ অবদান হিসেবে কমিটি এটি করেছে।

কমিটির পর্যবেক্ষণে বিগত ১৫ বছরে রাজস্ব ফাঁকি ও আর্থিক ক্ষতি, সরকারি বিনিয়োগ, খাদ্যপণ্যের সরবরাহ চেইন ধ্বংস, ব্যাংক খাতের লুটপাট, শ্রম অভিবাসন, সামাজিক সুরক্ষা নেট, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন প্রকল্পে প্রশ্নবিদ্ধ অর্থ ব্যয়সহ জিডিপি-মূল্যস্ফীতির তথ্যে নয়-ছয় তুলে ধরা হয়েছে।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে রোববার দেশের অর্থনীতির শ্বেতপত্র হস্তান্তর করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটা ঐতিহাসিক দলিল। আর্থিকখাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল একটা আতংকিত হওয়ার মতো বিষয়। আমাদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু কেউ এটা নিয়ে কথা বলিনি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরে সেই মাসের ২৮ তারিখ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।



আরো খবর: