শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ড্র হলো বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩
শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ড্র হলো বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ


ঢাকা, ২২ জুলাই – শেষ ওভারের নাটকীয়তায় তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ড্র করে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ-ভারত। ম্যাচটিতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারত নারী দলের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। এমন সমীকরণে মারুফা আক্তারের ওপরই ভরসা রাখেন জ্যোতি। এই পেসারের করা ওভারের প্রথম দুই বলে একবার করে প্রান্ত বদল করেন দুই ব্যাটার। স্কোরলাইন সমান হওয়ার পর ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেন্থে করেছিলেন মারুফা। তাতে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পরেন মেঘনা। তাতে ম্যাচ ড্র হয়। ফলে ১-১ এর সমতায় সিরিজও ড্র হয়েছে।

শনিবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ফারজানার সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে ৪৯.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান করে ভারত। তাতে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজেও ড্র করে দুদল।

২২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দলীয় ১১ রানে ওপেনার শেফালি ভার্মাকে ফেরান মারুফা আক্তার। এরপরে স্বস্তিকা ভাটিয়াকে আউট করে ভারতকে চাপে ফেলেন সুলতানা খাতুন।

তবে ভারতের আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্ধানাকে নিয়ে ১০৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন হারলিন। ৫৯ রান করে স্মৃতি আউট হলেও একপাশ আগলে রাখেন হারলিন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক হারমানপ্রীত। ভারতীয় অধিনায়ককে মাত্র ১৪ রানে আউট করেন নাহিদা আক্তার।

ব্যক্তিগত ৭৭ রান করে হারলিন আউট হলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে ভারতের মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যান জেমিমাহ রদ্রিগেজ দলকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে শেষদিকে দাঁড়াতে পারেনি কোনো ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত জেমিমাহ ৩৩ রানে অপারিজত থাকলেও অলআউট হয় ভারত।

এর আগে মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। শামীমা সুলতানার সাতে ওপেনিং জুটিতে ব্যাট করতে নামেন ফারজানা হক পিংকি। শামীমা-ফারজানার ওপেনিং জুটি থেকে ৯৩ রানের পার্টনাশিপ পায় বাংলাদেশ। শামীমা ব্যক্তিগত ৫২ রানে সাজঘরে ফিরলে ওপেনিং জুটি ভাঙে। শামীমা ফিরলেও ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন ফারজানা। শামীমা যখন সাজঘরে ফিরে তখন ব্যাট হাতে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন ফারজানা। এরপর ৯৭ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি স্পর্শ করেন ফারজানা হক পিংকি।

দলীয় ১৬৪ রানে ক্যাচবন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক জ্যোতি। ৩৬ বলে এক চারে ২৪ রান করেন জ্যোতি। ৪১তম ওভারে তৃতীয় উইকেট হারানোর পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফারজানার সাথে উইকেট আসা রিতু মনি ফিরেন ২ রানে। ফলে দলীয় ১৬৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দ্রুত দুই উইকেট হারালেও ব্যাট হাতে রানের চাকা সচল রেখেছেন ফারজানা। সোবহানা মোস্তারিকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন ফারজানা। ইনিংসের শেষ বলে ১০৫ করা ফারজানা রান আউটে কাটা পড়েন।

ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৬০ বল মোকাবেলা করে ১০৭ রান করে ফারজানা। তার এ ইনিংসে ৭টি চারের মার ছিল। অপরপ্রান্তে ব্যাট হাতে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সোবহানা মোস্তারি।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২২ জুলাই ২০২৩





আরো খবর: