বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৩ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

শবে বরাতে মসজিদে-মসজিদে পাপ মোচনের আকুতি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫




 

ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি – সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত বন্দেগি আর দোয়ার মধ্য দিয়ে এ রাত কাটাচ্ছেন। মাগরিবের নামাজের পর থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিরা হাজির হয়েছেন। অনেকেই সারারাত ইবাদত বন্দেগিতে কাটাবেন।

সারারাত নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকবেন অনেকে। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মোনাজাত করবেন রাতের শেষ প্রহরে।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কেউ মসজিদে কেউ বাড়িতে থেকে নফল নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কোরআন তিলাওয়াত করছেন। অনেকে কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করবেন।

শবে বরাত উপলক্ষে পাড়া-মহল্লার মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উৎসবের অমেজ তৈরি হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনও দেখা গেছে।

ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত আর ‘বরাত’ অর্থ মুক্তি। আজ সেই মুক্তির রাত লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত। হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনগত রাত (আজ শুক্রবার) মুক্তির রজনী হিসেবে পালন করে মুসলিম উম্মাহ। ভারতীয় উপমহাদেশ, ইরানসহ পৃথিবীর অনেক দেশের ফারসি, উর্দু, বাংলা, হিন্দিসহ নানান ভাষায় এটি ‘শবে বরাত’ নামেই অধিক পরিচিত।

পবিত্র শবে বরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। তাই শবে বরাত থেকেই কার্যত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।

বায়তুল মোকাররমে বড় আয়োজন
শবে বরাত উপলক্ষে মাগরিবের পর থেকে ফজর পর্যন্ত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে রয়েছে নানান আয়োজন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এসব আয়োজন করেছে।

এরমধ্যে বাদ মাগরিব পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন কারি গোলাম মোস্তফা। এরপর হামদ ও না’তে রাসুল (সা.) পরিবেশন করে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী। পরবর্তী আয়োজন হিসেবে রয়েছে, পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে শবে বরাতের শিক্ষা ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা। আলোচনা করবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এছাড়া শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান।

এরপর ব্যক্তিগত নফল ইবাদত ও জিকিরের পর রাত আড়াইটায় নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান।

আলোচনা শেষে আবারও ব্যক্তিগত নফল ইবাদত ও জিকিরের পর ফজরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করবেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী।

সূত্র: জাগো নিউজ
এনএন/ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫



আরো খবর: