লোহাগাড়ার চুনতিতে ঈদ জামায়েতের সময়কে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ইউনিয়নের সাতগড় মৌলভী বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- গুলিবিদ্ধ মাওলানা আবুল বশর (৫০), আবুল হাশেম (৭০), মো. ইফহাদুল ইসলাম বাবু (১৮), আকতার আহমদ (৬৫), আবদুল লতিফ হোছাইনি (৪৪), মো. আবদৃল মজিদ হোছাইনি (৩৫) ও এডভোকেট আবদুল ওয়াহেদ হোসাইনি (৪০)।
স্থানীয়রা জানান, সাতগড় শাহ আতাউল্লাহ হোছাইনী (রাহ.) কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে ঘটনার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় পুনরায় সংঘর্ষ হবার আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জয়নুল আবেদিন জানান, দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলমান থাকায় প্রায় দুই মাস পূর্বে উক্ত মসজিদ কমিটিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীকে আহবায়ক ও তাকে সদস্য সচিব করে নতৃন কমিটি গঠন করা হয়।
এরপর উভয় পক্ষকে পর্যায়ক্রমে এক সপ্তাহ করে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয় হয়। চলতি সপ্তাহ যেই পক্ষ দায়িত্ব পালন করছেন, তারা মসজিদে ঈদের জামায়াত সাড়ে ৮টায় আদায় করার ঘোষণা দেন। এদিকে ঘটনার রাতে আরেকপক্ষ মসজিদে এসে ঈদের জামায়াত সাড়ে ৭টায় আদায় করার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, চলতি সপ্তাহ যেই পক্ষ দায়িত্ব পালন করছেন তারা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী মসজিদে ঈদের জামায়াত আদায় করবেন। তাদের ঈদ জামায়াত শেষে চাইলে অন্যপক্ষ ঈদের জামায়াত করতে পারবেন।
এদিকে খবর পেয়ে লোহাগাড়া থানার ওসি (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম খান, চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলাউদ্দিন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ ফেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।