সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

লেবাননের গভর্নরের বিরুদ্ধে জার্মানির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩
লেবাননের গভর্নরের বিরুদ্ধে জার্মানির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি


বার্লিন, ২৩ মে – লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রিয়াদ সালামেহের বিরুদ্ধে জার্মানি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। জার্মানি লেবাননকে জানিয়েছে, জালিয়াতি, অর্থপাচার ও আত্মসাৎসহ দুর্নীতির অভিযোগে পরোয়ানাটি জারি করা হয়েছে। একটি সিনিয়র বিচার বিভাগীয় সূত্র মঙ্গলবার রয়টার্সকে এ তথ্য জানায়। এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট একটি দ্বিতীয় সূত্রও রয়টার্সকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কথা নিশ্চিত করেছে।

তবে সালামেহ কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন।
এক সপ্তাহের মধ্যে সালামেহের বিরুদ্ধে জারি করা এটি দ্বিতীয় বিদেশি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বলে জানা গেছে। এর আগে প্যারিস আদালতে শুনানির জন্য তিনি উপস্থিত হতে ব্যর্থ হওয়ায় ফ্রান্স ১৬ মে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এ ছাড়াও ৭২ বছর বয়সী সালামেহের বিরুদ্ধে লেবানন এবং অন্তত পাঁচটি ইউরোপীয় দেশে তদন্ত করা হচ্ছে।

তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ক্ষতি এবং বিদেশে তহবিল পাচারের জন্য লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে ফ্রান্সের অনুরোধে ইন্টারপোল সালামেহের জন্য একটি রেড নোটিশ জারি করেছে। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, জালিয়াতি এবং ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার মতো অপরাধ করার লক্ষ্যে একটি অপরাধমূলক সংস্থায় অংশগ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে। সালামেহ বলেছেন, তিনি ফরাসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ করবেন।

এর আগে লেবাননে এই গভর্নরের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল, যার মধ্যে আত্মসাৎ, অর্থপাচার এবং জালিয়াতির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ রয়েছে। সালামেহ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এ বিষয়ে জার্মান ফেডারেল প্রসিকিউশনের কাউকে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করার জন্য পাওয়া যায়নি।

মিউনিখ পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস এই মামলায় জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সম্পর্কে মন্তব্য করতে তারা অস্বীকার করে।

অফিসের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা কখনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে মন্তব্য করি না।’
সালামেহ ৩০ বছর ধরে লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জুলাইয়ে তার সর্বশেষ মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তার আগেই তিনি পদত্যাগ করার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন। যদিও লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা তার মামলা নিয়ে আলোচনা করা সোমবারের বৈঠকে এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

সূত্র : কালের কন্ঠ
আইএ/ ২৩ মে ২০২৩





আরো খবর: