শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার। সুস্থ থাকতে লিভার ভালো রাখার বিকল্প নেই। তবে কিছু বদ অভ্যাসের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে লিভার খারাপ হয়। এ জন্য সচেতন থাকতে হবে।
অনেকেই আছেন, যারা সারা বছর লিভারের সমস্যায় ভোগেন। খাওয়ার অনিয়মের কারণেই এ সমস্যা হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত না খেলে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনবেন।
লিভারের সমস্যা হলে মূলত হজম শক্তি কমে যায়। তাই প্রতিদিন তেল-মসলা ছাড়া খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় কিছু ফলও রাখতে পারেন। আর কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেও লিভার ভালো রাখা সম্ভব।
লিভার ভালো রাখার ১০ উপায় —
অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। একই সঙ্গে লো ফ্যাট ফুড থেকেও সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এসব খাবার থেকে ফ্যাট বাদ দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু খাবারের স্বাদ ধরে রাখতে প্রচুর পরিমাণ চিনি যোগ করা হয়। এতে লিভারের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। স্ট্রেসের সময় না খাওয়া
মাঝেমধ্যে অনেকের মনে হয়, শরীরে এনার্জি কম লাগছে। ঠিক তখন এনার্জি ফিরে পেতে আমরা খাওয়া-দাওয়া করি, যা একদমই ঠিক নয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিভার সুস্থ রাখতে স্ট্রেসের সময় কোনো খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ, ওই সময় ঠিকমতো হজম হয় না।
গাছের মূল খাওয়া
লিভারের সমস্যা সমাধানে কিছু কিছু গাছে মূল খুব ভালো কাজ করে। হলুদের মূল লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ জন্য খালি পেটে অনেকে কাঁচা হলুদ খেয়ে থাকেন।
ভিটামিন
প্রোটিন বা ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকুন। খাদ্য তালিকায় এমন খাবার রাখুন, যা লিভার ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স, ভিটামিন ‘সি’ লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রোটিনের মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিডও লিভার পরিষ্কার রাখার জন্য ভালো কাজ করে। পাশাপাশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ওষুধ
এমন কিছু ওষুধ আছে, যেগুলো লিভারের ক্ষতি করে। যেমন—পেনকিলার, টাইলেনল বা কোলেস্টেরলের ওষুধ লিভারের ক্ষতি করে। তাই এসব ওষুধ থেকে দূরে থাকুন।
চা-কফি
চা-কফি খেলে শরীরের ক্ষতি হয়—এ কথা অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু কফি খাওয়ার অনেক সুফল আছে। গবেষণা থেকে জানা গেছে, নিয়মিত কফি খেলে লিভারের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অন্তত ১৪ শতাংশ কমে যায়।
টক্সিন
টক্সিন লিভারের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। কারণ, এটি বিষজাতীয়, যা মুখে দিলে ত্বকের মাধ্যমে রক্তে শোষিত হয়। ফলে লিভার ভালো রাখতে হলে অবশ্যই স্প্রে, টক্সিন থেকে দূরে থাকতে হবে।
প্ল্যান্ট প্রোটিন
লিভার সুস্থ রাখতে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো সঠিক খাবার খাওয়া। এ ক্ষেত্রে প্ল্যান্ট প্রোটিন সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অ্যানিমেল প্রোটিনের থেকে প্ল্যান্ট প্রোটিন লিভারের জন্য অনেক ভালো। তাই বেশি বেশি ডাল, সবুজ শাকসবজি, বাদাম, ফাইবার খেতে হবে।
অ্যালকোহল
অতিরিক্ত অ্যালকোহলে আমাদের লিভারে টক্সিন জমা হয়। তাই কোনোভাবেই এটি করা যাবে না।
হেলদি ফ্যাট
শরীরের জন্য ফ্যাট অনেক উপকারী। এ জন্য ডায়েট থেকে একেবারে ফ্যাট বাদ দেওয়া যাবে না। এতে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। তাই খাবারের তালিকায় হেলদি ফ্যাট জাতীয় খাবার, যেমন—অলিভ বা ও
আইএ