পুলিশ দেখে খালে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজের ৩৮ ঘণ্টা পর ১৪ মামলার আসামি কুদ্দুস সরদারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে বেতকা ছটফটিয়ে গ্রামসংলগ্ন ইছামতি নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বালিগাঁও এলাকায় পুলিশ দেখে পাশের পদ্মার শাখা নদী গৌরগঞ্জ খালে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন কুদ্দুস। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় তার পরিহিত প্যান্টের পকেটে থাকা ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে পুলিশ। নিহত কুদ্দুস স্থানীয় হাট বালিগাঁও এলাকার আব্দুল সাত্তার সরদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে টঙ্গিবাড়ী ও পাশের লৌহজং থানায় মাদকসংক্রান্ত ১৪টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকালে টহল দিতে টঙ্গিবাড়ী থানার এসআই মো. আল-মামুন ফোর্স নিয়ে বালিগাঁও ইসলামপুর এলাকায় যান। এ সময় রাস্তার বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার দুই ব্যক্তি পুলিশ দেখে রিকশা থেকে নেমে দুই দিকে দৌড়ে পালায়। কুদ্দুস সরদার রাস্তার পশ্চিম পাশে থাকা পদ্মার শাখা তালতলা-গৌরগঞ্জ খালে ঝাঁপ দেয়। পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি লক্ষ্য করে কুদ্দুসকে উঠে আসতে বলে। এ সময় স্থানীয়রাও তাকে একই আহ্বান জানায়। কুদ্দুস কারো কথা না শুনে বালিগাঁও বাজারে দিকে সাঁতরে চলে যান। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে স্থানীয় চাষি বালিগাঁও এলাকায় তার লাশ ভেসে ওঠে। পরে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, কুদ্দুস সরদার এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। তিনি এক দিকে মাদক বিক্রি করতেন, অন্যদিকে তার বাড়িতে প্রতিদিনই জুয়ার আসর বসত। কিছুদিন পরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন এসে তাকে ধরে নিয়ে যেত। পরে আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে আবারও মাদক ব্যবসা করতেন। তবে নিহতের মেয়ে ফারিয়া আক্তার বলেন, তার বাবা দুই দিন আগে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। তার বাবার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে পুলিশ।
টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি রাজিব খান বলেন, নিহত কুদ্দুর সরদারের প্যান্টের পকেটে ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।