পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি গজালিয়া ইউনিয়নের আকিরাম ত্রিপুরা পাড়ার বাসিন্দা ডাগেহা ত্রিপুরার মেয়ে দিপা ত্রিপুরা।
অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারণে যখন দিপার পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা।
লামার সেই আলোচিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী’কে এবার পদায়ন করা হয়েছে কক্সবাজারের বিশেষায়িত উপজেলা উখিয়ায়। তিনি ৩৫ বিসিএস (প্রশাসন) এর কর্মকর্তা।
১০ নভেম্বর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী সহ একই পদমর্যাদার ৩ জন কর্মকর্তাকে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনও পদে পদায়ন করা হয়।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সন্তান কামরুল হোসেন চৌধুরী উখিয়ার বিদায়ী ইউএনও তানভীর হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
মুরাদনগরের ইউএনও সিফাত উদ্দিন কে প্রথমে উখিয়ায় পদায়ন করা হলেও পরে তাকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিত্যক্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনা বোর্ড এর সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১০ মার্চে লামার ইউএনও হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে কর্মদক্ষতায় স্থানীয়দের কাছে মোটামুটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন কামরুল হোসেন চৌধুরী।
লামায় ইউএনও হিসাবে যোগদানের পূর্বে তিনি ইতিপূর্বে বান্দরবান জেলার সহকারী কমিশনার, নোয়াখালী’র বেগমগঞ্জ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সেখানকার পাহাড়খেকোদের দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে তিনি রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
প্রাকৃতিক প্রাচুর্যের কারণে উখিয়াতেও বন ও পরিবেশ ধ্বংস, সরকারি জায়গা অবৈধ দখল, মানবপাচার এবং মাদক কেন্দ্রিক অপরাধী চক্রের দৌরাত্ম্য রয়েছে। তাদের কিভাবে থামাবে বা দমন করবে সেটা এখন দেখার বিষয়।
উখিয়ার মতো গুরুত্ববহুল প্রশাসনিক এলাকায় কামরুল হোসেন চৌধুরী লামার মতো কর্মদক্ষতায় নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন বলে প্রত্যাশা স্থানীয়দের।