শিরোনাম ::
রামু প্রেস ক্লাবের জরুরী সভায় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫ জন বহিস্কার চকরিয়ায় গ্রাম পুলিশের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে কাঠুরিয়া নিহত, রাতে জঙ্গল থেকে মরদেহ উদ্ধার টেকনাফে মুক্তিপণে ছাড়া পেল অপহৃত দুইজন অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রলারসহ ১১ বাংলাদেশি জেলেকে তুলে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক যুবক কারাগারে উখিয়া-টেকনাফের চালের কার্ড অন্য জেলায় হস্তান্তরের পায়তারা, ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা ও ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিল পাসের প্রতিবাদে রামুতে বিক্ষোভ মিছিল চকরিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারিদের কর্মবিরতি, চকরিয়ার মানিকপুরে সড়ক বনায়নের বিপুল গাছ কেটে লুটে নিয়ে যাচ্ছে দুবৃর্ত্তরা
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৪ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য রেশন কাটারোধে জরুরি তহবিলের আবেদন ডব্লিউএফপি’র

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি::

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশে তাদের জরুরি সহায়তা কার্যক্রম তহবিলের গুরুতর সংকটের ব্যাপারে সতর্ক করেছে। যা দেশের এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর খাদ্য সহায়তাকে বিপদের মুখে ফেলছে।

জরুরি নতুন তহবিল ছাড়া, মাসিক রেশন অর্ধেক কমিয়ে প্রতিজনের জন্য ৬ মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে হবে, যা বর্তমানে ১২.৫০ মার্কিন ডলার—ঠিক যখন শরণার্থীরা রমজানের শেষে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সব রোহিঙ্গা নির্ধারিত দোকানগুলো থেকে তাদের পছন্দের খাবার কেনার জন্য ভাউচার পান। পূর্ণ রেশন চালিয়ে যেতে, ডব্লিউএফপির এপ্রিলে জরুরিভাবে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত মোট ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।

“রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংকট হিসেবে রয়ে গেছে,” বলেন বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেলি। “বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সম্পূর্ণভাবে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য সহায়তা কমানো হলে তারা আরও গভীর খাদ্য সংকটে পড়বে এবং বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।“

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, যার সংখ্যা ১,০০,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রতিবেশী মিয়ানমারের সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা এসব মানুষ নিরাপত্তার আশ্রয় খুঁজছে, যা ইতিমধ্যে চাপে থাকা সম্পদের ওপর আরও বড় চাপ সৃষ্টি করছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্ভাব্য রেশন কমানোর বিষয়ে যোগাযোগ শুরু করেছে। এটি এমন এক সময়ে
হচ্ছে, যখন সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য পবিত্র রমজান মাস চলছে—একটি পবিত্র সময়, যা সংহতি ও পারস্পরিক সহায়তার প্রতীক, এবং যা রোহিঙ্গাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের জন্যও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

“এখন আগের চেয়ে আরও বেশি রোহিঙ্গাদের আমাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এই পরিবারগুলোর আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, এবং ডব্লিউএফপির খাদ্য সাহায্যই তাদের বাঁচার আর হতাশার মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে। এই সংকট আরও বাড়তে না যাওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা জরুরি,” যোগ করেছেন স্ক্যালপেল্লি।
২০২৩ সালে, তীব্র অর্থায়ন সংকটের কারণে ডব্লিউএফপি ব্যক্তি প্রতি মাসে ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ৮ ডলার রেশন দিতে বাধ্য হয়, যা খাদ্যভোগের ব্যাপক হ্রাস এবং ২০১৭ সালের পর শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অপুষ্টির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে – যা ১৫ শতাংশেরও বেশি ছিল – যা জরুরি স্তরের উপরে। পরবর্তীতে, অর্থায়ন পাওয়ার পর রেশন বাড়ানো হয়।

যেহেতু এই জনগোষ্ঠীর কোনও আইনগত অবস্থান নেই, ক্যাম্পের বাইরে চলাফেরার স্বাধীনতা নেই, এবং টেকসই জীবিকার সুযোগও নেই, ফলে রেশন আরও কমানো তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে। ২০২৩ সালের মতো বিশেষ করে নারী ও মেয়েরা শোষণ, পাচার, পতিতাবৃত্তি, এবং গার্হস্থ্য সহিংসতার উচ্চতর ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। শিশুরা স্কুল থেকে বের হয়ে শিশুশ্রমে বাধ্য হতে পারে, এবং মেয়েরা অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যেতে পারে, কারণ পরিবারগুলো বাঁচতে তখন বেপারোয়া সিদ্ধান্ত নিত পারেন।

বিশ্বব্যাপী শরণার্থী জনগণই প্রথম যারা প্রায়ই সাহায্যের কমতির মুখোমুখি হয়, যদিও তারা সবচেয়ে বেশি অসহায়। অর্থায়নের ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়ার এবং চাহিদা বাড়তে থাকায়, রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য অনেক সম্প্রদায়ের কাছে বেঁচে থাকার জন্য কম সম্পদ রয়ে যায়।


আরো খবর: