শিরোনাম ::
সংবিধানে উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ রাখাসহ আরও যেসব প্রস্তাব বিএনপির কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলবে বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারে অপহরণ ও ধর্ষন মামলায় পিতাসহ ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন চকরিয়ার দায়িত্ববার নিয়েছেন নবাগত ইউএনও আতিকুর রহমান, বিদায়ী ইউএনও কক্সবাজারস্থ শরনার্থী কমিশনে চকরিয়ায় সুরাজপুরে সড়কের উপর বন্যহাতির আক্রমণে দুই পথচারী আহত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম-এনরুট কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন, চাকরিতে পূর্ণবহালসহ চার দফা দাবি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করবেন বাইডেন ও ম্যাক্রোঁ আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার যে কারণে গ্রেফতার হলেন ইসকন নেতা প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ আদানি ইস্যুতে পার্লামেন্টে তুমুল হট্টগোল
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র সহ কথিত আরসা নেতা গ্রেফতার : ইয়াবা উদ্ধার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, রাউন্ড কার্তুজ সহ কথিত ‘আরসা’ নেতা ইদ্রিসকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন। একই সঙ্গে অপর এক অভিযানে ক্যাম্প থেকে কথিত আরসা বাহিনীর এক কমান্ডারের আস্তনায় অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার হয়।

এর মধ্যে সোমবার ভোরে গ্রেফতার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার করা হয় মুহাম্মদ ইদ্রিস (৪২) কে। ইদ্রিস কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের মৃত আবদুল করিমের পুত্র বলে জানান ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক।

তিনি জানান, ইদ্রিস রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ডি ব্লকে কথিত আরসা’ নেতা জোবায়েরের পক্ষে অবৈধ প্রভাব তৈরির ব্যর্থ চেষ্টা করে আসছিল। দীর্ঘদিন হল কুতুপালং ক্যাম্প পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খোঁজ করছিল।একাধিক টিমের কর্ডন ও প্রযুক্তির সাহায্য এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ সহ রোহিঙ্গা ইদ্রিসকে গ্রেফতার করা সক্ষম হয়। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

অপরদিকে সোমবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১০ ব্লকে এ অভিযান চালানো ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক।

তবে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।

নাইমুল বলেন, সোমবার ভোরে উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১০ ব্লকে একটি বসত ঘরে ইয়াবার বড় একটি চালান মজুদের খবরে এপিবিএন এর একটি দল অভিযান চালায়। এতে এপিবিএন সদস্যরা সন্দেহজনক ঘরটি ঘিরে ফেললে ৩ জন লোক ড্রেনের মত সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যায়।

“ পরে ঘরটি তল্লাশী করে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ হাজার ইয়াবা। ঘরটির বাসিন্দা রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারি মোহাম্মদ আলম ওরফে মুসা (৩০)। ঘরটি কথিত আরসার বাহিনীর গান গ্রুপের কমান্ডার নুর কামাল ওরফে ছমি উদ্দিন তার আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। ”

এপিবিএন এর কর্মকর্তার ভাষ্য, “ কথিত আরসা কমান্ডার নুর কামাল ওরফে ছমি উদ্দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে মাদকপাচার, অস্ত্রপাচার ও চোরাচালান চালিয়ে আসছিল। সে সীমান্তে চোরাচালান চক্রের অন্যতম প্রধান। ”

মাদকের চালান মজুদের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান নাইমুল হক।


আরো খবর: