পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি এসএম রুহুল আমিন বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প জঙ্গিবাদের সম্ভাব্য উর্বরক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। এই ব্যপারে পুলিশ সজাগ রয়েছে। পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গিবাদের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেনা। এ নিয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থাও কাজ করছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে কোন ভাবেই জঙ্গিবাদের ক্ষেত্র করতে দেবে না এ ব্যাপারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যে বা যারা কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে সবসময় সজাগ রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকের বিস্তার রোধ নিয়েও পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (৩১ মে) সকালে কক্সবাজারে স্থানীয় একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে জঙ্গিবাদ দমনের উপর বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং নিয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাম্প্রতিককালে অপরাধের মাত্রাবাড়ছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম চার মাসে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত ২৪১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি হত্যা মামলা, ১২টি হত্যা চেষ্টা মামলা ২৪টি অস্ত্র মামলা ৯টি নারী নির্যাতন মামলা ১৩৭টি মাদকের মামলা হয়েছে। এ ছাড়া মানব পাচারসহ আরো বড় ধরনের অপরাধের মামলা রয়েছে।
পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং ইউনাইটেড নেশন্স অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশন অফিসের পলিটিকাল কাউন্সিলর ব্রেডলি কোর্টস, এপিবিএন পুলিশের ডিআইজি এফডিএমএন জামিল হাসান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি কানিস ফাতেমা, অফিসার ইনচার্জ অন ইউএনওডিসি শাহ মোহাম্মদ নাহিয়ান ও কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মশালায় কমিউনিটি পুলিশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন, চট্টগ্রাম জেলা এবং কক্সবাজার জেলা পুলিশের ৫০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।