এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সাময়িকভাবে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে চীন সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে বিশ্বাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এ সময় রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ করে এমন প্রত্যাশার কথা জানান মন্ত্রী।
ড. মোমেন চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ-চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে রাষ্ট্রদূতের অবদানের প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফরের কথা স্মরণ করেন।
মোমেন কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে চীন সরকার ও রাষ্ট্রদূতের সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষ করে, বাংলাদেশকে দেশটির উপহার দেওয়া ৫০ মিলিয়ন ডোজ টিকা এবং বাণিজ্যিকভাবে ৭৭ মিলিয়ন ডোজ টিকা সরবরাহের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান। এছাড়া মহামারির সংকট সময়েও বাংলাদেশে চীনের সহায়তায় চলমান মেগা প্রকল্পের অগ্রগতির জন্যও ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী-রাষ্ট্রদূত এসডিজি, জলবায়ু পরিবর্তন, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতার পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ইস্যুতে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘এক চীন নীতি’-তে ঢাকার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।