নয়াদিল্লি, ০৭ জুলাই – দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (৮ জুলাই) রাশিয়া যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘সামরিক অভিযান’ শুরু হওয়ার পর ও টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম মস্কো সফরে যাচ্ছেন মোদী।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে শুরু হওয়া রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে মস্কো-নয়াদিল্লির মধ্যকার সম্পর্ক একাধিকবার পরীক্ষার মুখে পড়েছে। এরপরও মস্কোর অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে নয়াদিল্লির গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপানো নিষেধাজ্ঞার পর, রাশিয়ার তেলের প্রধান ক্রেতা হয়ে উঠেছে চীন ও ভারত। এমনকি, রাশিয়ার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্যও রপ্তানি করে ভারত।
এদিকে, কিয়েভের কট্টর সমর্থকের ভূমিকায় কখনোই দেখা যায়নি নয়াদিল্লিকে। গত মাসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত শীর্ষ শান্তি সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। ওই বিবৃতিতে যে কোনো ধরনের শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান ছিল।
মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে নিন্দা না করে বরং শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। মস্কো ও নয়াদিল্লির মধ্যে অংশীদারিত্ব মজবুত হয়ে উঠেছে। তবে, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে শুরু করেছে।
পশ্চিমা জোটকে মোকাবিলা করতে মস্কো ও বেইজিংয়ের তৈরি করা নিরাপত্তাবিষয়ক গোষ্ঠীর এক সম্মেলন বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এড়িয়ে গেছেন মোদী। কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক বৈঠকে মোদী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। এই বৈঠকে যোগ দেন পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ভ্লাদিভস্তকের পূর্বে এক অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে মোদী ২০১৯ সালে শেষবার রাশিয়া সফর করেছিলেন। তিনি শেষবার মস্কোতে গিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। উজবেকিস্তানে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০২১ সালে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন পুতিন।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০৭ জুলাই ২০২৪