সোয়েব সাঈদ, রামু::
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ময়লা-আবর্জনায় একাকার হওনা নালা নর্দমা অবশেষে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতি। এর আওতায় গত চারদিন ধরে চৌমুহনী স্টেশনে স্কেভেটর দিয়ে নালা ও আশপাশে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারের পর পরিত্যক্ত নালাগুলো সংস্কারও করা হবে।
গতকাল শনিবার, ২৩ আগস্ট সকাল থেকে সংস্কার কাজ তদারক করছিলেন, চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন রকি, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এরআগে গত ২০ আগস্ট সকালে এ কাজের উদ্বোধন করেন- ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন। এসময় চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন রকি, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সহ সভাপতি আনোয়ারুল হক, কোষাধ্যক্ষমো. শামীমুল আরশাদ, সদস্য লোকমান হাকিম, এইচ এম মাসুদ, আবুল কাউছার খোকন, মোবারক হোসেন ও আজিজুল হক।
চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন রকি জানান- দীর্ঘদিন চৌমুহনী স্টেশনের নালাগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যে কারণে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতাসহ ময়লা-আবর্জনার কারণে পথচারিদের চলাচলে দূর্ভোগ লেগে ছিলো। বণিক সমিতির নতুন কমিটির অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিলো, এ স্টেশনকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। তাই নির্বাচিত হওয়ার পর সমিতির সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হওনা নালা নর্দমা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চৌমুহনী কালী মন্দির থেকে স্বপ্নপুরী রাস্তার মাথা পর্যন্ত ময়লা-আবর্জনা অপসারণ ও ভরাট হওয়া নালা সংস্কার করে পথচারিদের চলাচল উপযোগি করা হবে। পরবর্তীতে পুরো স্টেশনের সব নালা সংস্কার করা হবে। এছাড়াও চৌমুহনী স্টেশনে সকল প্রকার চাঁদাবাজি, ফুটপাত দখল, সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ কাজ করে যাচ্ছেন।
বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম জানান- তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর চৌমুহনী স্টেশনকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, যানজট নিরসন, ব্যবসায়িদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও স্টেশনের সৌন্দর্য বর্ধনের অঙ্গীকার করেছিলেন। স্থানীয় সরকার, সরকারি দপ্তরের সাথে সমন্বয় করে এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য শীঘ্রই সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্ট ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে। এসব কাজ বাস্তবায়নে তিনি জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।