হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার। কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুলের উমখালীর গহিন পাহাড়ি এলাকা। প্রবা ফটো
হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার। কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুলের উমখালীর গহিন পাহাড়ি এলাকা। প্রবা ফটো
কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে অপহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জাহেদ হোসাইনকে চার দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে রামু উপজেলার রাজারকুলের উমখালীর গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয়েছে অপহরণ চক্রের এক সদস্যকে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।
অপহৃত জাহেদ হোসাইন উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের গায়ালামারা এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে। আটক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন ওরফে ইকবাল রামুর উমখালী এলাকার বাসিন্দা।
অপহৃত চালকের বড় ভাই ছৈয়দ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এক নারী ও এক পুরুষ জাহেদকে যাত্রী সেজে কলাতলী থেকে রামুর কলঘর বাজার যাওয়ার জন্য ভাড়া করে। লিংকরোড এলাকায় পৌঁছানোর পর জাহেদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করা হয়। পরে জাহেদের ফোন থেকেই পরিবারকে একাধিকবার কল দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সর্বশেষ অপহরণকারীরা জানায় ২৫ মার্চ রাতের মধ্যে টাকা না দিলে জাহেদকে কেটে টুকরো-টুকরো করে লাশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ পরিস্থিতিতে তারা র্যাবের শরণাপন্ন হন।
র্যাব কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, অপহরণের পর থেকেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে র্যাবের অভিযানের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। পাহাড়-অরণ্য বেষ্টিত এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থানস্থল চিহ্নিত করা হয়। পরে গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীদের আস্তানা ঘিরে ফেলে সেখানে ব্লক রেইড অভিযান পরিচালনা শুরু করে র্যাব। সোমবার রাতে অভিযান টের পেয়ে অপহৃত জাহেদকে অকুস্থলে রেখেই সটকে পড়েন অপহরণকারী চক্রের বেশিরভাগ সদস্য। এ সময় দুর্গম পাহাড়ি ঢাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জাহেদকে উদ্ধারের পাশাপাশি এক অপহরণকারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে অপহৃতদের স্বজনরা বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে। আটককে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে অপহরণ মুক্তিপণের এই চক্র নির্মূলে র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’