কক্সবাজারের রামুতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও মাদক চোরাচালান চক্রের সদস্যদের সাথে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিজিবি’র গুলিতে নেজাম উদ্দিন নামের এক চোরাচালান চক্রের সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিজিবি সদস্যদের ব্যবহৃত ৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং আরও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার, ৩ জুন ভোরে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মরিচ্যাচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত নেজাম উদ্দিন কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের আবুল বশরের ছেলে।
বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী টহলদলের ওপর চোরাকারবারিরা গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু পরিমাণ ইয়াবা ও বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বাবুল বলেন, বিজিবির সাথে চিহ্নিত চোরাকারবারি গোলাগুলি হয়েছে। এ ঘটনায় নেজাম উদ্দিন নামের এক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। নিহতের মরদেহ তার দলের সদস্যরা নিয়ে গেছে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান জানিয়েছেন, সোমবার সকালে নেজামের গুলিবিদ্ধ মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। খবর পেয়ে দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত নেজাম উদ্দিনের পিতা আবুল বশর জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ছেলে নেজাম উদ্দিন রামুর গর্জনিয়ায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। রোববার রাত ১২টার দিকে মোবাইল ফোনে ছেলের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছে। সকালে নেজাম উদ্দিনের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তবে সোমবার সকালে ঘুম থেকে জাগার পর খবর পান গর্জনিয়ায় বিজিবির গুলিতে নেজাম নিহত হয়েছে।