রামু প্রতিনিধি ::
পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট মোকাবিলায় কক্সবাজারের ৫টি উপজেলায় কাজ করছে দাতা সংস্থা হেলেন কেলার, ভিটামিন এঞ্জেলস ও আইডিই। উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে, কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়া। এরমধ্যে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ, রাজারকুল ও ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পর্যায়ক্রমে তা আরও অন্যান্য এলাকাগুলোতে বিস্তৃতি লাভ করবে।
‘পুষ্টির মাধ্যমে জীবন পরিবর্তন করা’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে এসব উপজেলার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠির জন্য পুষ্টির দিক থেকে দূর্বল জনসংখ্যা, গর্ভবতী মহিলা, শিশুদের জন্য ক্ষুদ্র কৃষি, অর্থনীতি, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ সমাধানে সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দারিদ্রের অবসান ঘটাতে উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়িত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর বেলা ১২ টায় রামু উপজেলা পরিষদের হিমছড়ি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অসীম বরণ সেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা রহমান ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জুলফিকার আলী।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন- মাতৃ-শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শতভাগ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। মা ও শিশুর জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য সুনিশ্চিত করতে হবে। এরফলে সুস্থ্য-সবল জাতি গঠন সম্ভব। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো এ জন্য কাজ করছে। দাতা সংস্থা হেলেন কেলার, ভিটামিন এঞ্জেলস ও আইডিই কর্তৃক ট্রান্সফরমিং লাইভস থ্রো নিউট্রিশান প্রকল্প এক্ষেত্রে অবদান রাখবে। তিনি প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন এবং উপস্থিত সকলকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
সভায় প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- ট্রান্সফরমিং লাইভস থ্রো নিউট্রিশান প্রকল্পের ফিল্ড টীম লিডার জ্যোতির্ময় মজুমদার। সভায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।