নয়াদিল্লি, ০৯ আগস্ট – অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় শুরুটা করার কথা ছিল। তবে মঙ্গলবার আলোচনার সূচনা করেননি রাহুল গান্ধী।
এ নিয়ে টিটকিরি সহ্য করতে হয় রাহুলকে। দ্বিতীয় দিনে অবশ্য মুখ খুললেন তিনি। প্রথমেই তিনি স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান। পরে মণিপুর নিয়ে তিনি মোদিকে দোষারোপ করেন।
কংগ্রেস সাংসদ বলেন, স্পিকার স্যার, আমাকে লোকসভার সাংসদ হিসেবে পুনর্বহাল করার জন্য প্রথমেই আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যখন শেষবার কথা বলেছিলাম, সম্ভবত আমি আপনাকে কষ্ট দিয়েছিলাম। কারণ আমি সেদিন আদানিকে কেন্দ্র করে কথা বলেছিলাম। হয়তো আপনার সিনিয়র নেতারা তাতে ব্যথা পেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সেই ব্যথা আপনার উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। আমি সেজন্য আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু আমি যা বলেছি, সত্যি বলেছি। আজ আমার বিজেপির বন্ধুদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই কারণ আমার আজকের বক্তৃতা আদানিকে নিয়ে নয়। ‘
অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় রাহুল গান্ধী বলেন, আমি কয়েকদিন আগে মণিপুর গিয়েছিলাম। আজও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদি সেখানে যাননি। মোদীর জন্য মণিপুর ভারত নয়। আমি মণিপুর বললাম ঠিকই। তবে সত্যি হলো মণিপুর আর নেই। মণিপুরকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মণিপুরের শরণার্থী শিবিরে গিয়ে সেখানকার নারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিশুদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই কাজ আজও পর্যন্ত করলেন না প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে এক নারী আমাকে জানান, তার একমাত্র সন্তানকে তার চোখের সামনে গুলি করা হয়। তিনি পুরো রাত ছেলের লাশের কাছে শুয়েছিলেন। এরপর সকালে ভয় পেয়ে তিনি ঘর ছাড়েন।
রাহুল গান্ধী বলেন, আমাদের দেশের মানুষের মনের আওয়াজকে মণিপুরে হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরে ভারতমাতাকে হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরে লোকদের মেরে ভারতমাতাকে খুন করা হয়েছে। আপনারা দেশদ্রোহী। দেশপ্রেমী নন।
তিনি বলেন, ভারতীয় সেনারা একদিনে মণিপুরকে শান্ত করতে পারেন। তবে আপনারা তা করছেন না। মোদি ভারতের আওয়াজ শোনেন না। রাবণ দুজনের কথা শুনতেন। মেঘনাদ ও কুম্ভকর্ণ। আর মোদি শোনেন অমিত শাহ ও আদানির কথা। লঙ্কা হনুমান জ্বালাননি। লঙ্কা পুড়েছিল রাবণের অহংকারে।
সূত্র: বাংলানিউজ
আইএ/ ০৯ আগস্ট ২০২৩