লন্ডন, ০৫ আগস্ট – রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোনো আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার ছেলে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। মায়ের মৃত্যুর দিবসটি অত্যন্ত নিভৃতে কাটাবেন রাজা তৃতীয় চার্লস।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের একাধিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
ব্রিটিশ রাজপরিবার ও বাকিংহাম প্যালেসের মুখপাত্ররা বলেছেন, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় কোনো আয়োজন রাখছেন না রাজা। ঘরোয়াভাবেও কোনো আয়োজন করবেন না তিনি।
২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় সবচেয়ে বেশি সময় ব্রিটিশ মসনদে থাকা ৯৬ বছর বয়সী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। তারপর ব্রিটেনের রাজা হন ৭৪ বছর বয়সী চার্লস।
রানির মৃত্যুতে ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছিল। তা ছাড়া রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিন হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের ইতিহাসে অন্য যে কোনো শাসকের চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে সিংহাসনে আসীন ছিলেন। সারাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে যারা শাসনকাজ পরিচালনা করেছেন তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলতি বছরের জুনে চার দিনের বিশাল আয়োজন করে রাজ পরিবার।
তার আগে কোনো ব্রিটিশ শাসকেরই টানা সাত দশক সিংহাসনে আসীন থাকার ইতিহাস নেই। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম ২১ এপ্রিল ১৯২৬ সালে। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২৫ বছর বয়সে ব্রিটেনের সিংহাসনে বসেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ ১৯৩৭ সালে ব্রিটেনের রাজা হন। এলিজাবেথ ছিলেন তখন ব্রিটিশ সিংহাসনের একমাত্র উত্তরাধিকারী। ষোল বছর বয়সে তিনি প্রথম জনসম্মুখে আসেন। আঠার বছর বয়সে সামরিক বাহিনীতে প্রশিক্ষণের জন্য যোগদান করেন। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ব্রিটিশ রাজা ষষ্ঠ জর্জ মৃত্যুর পর এলিজাবেথ সিংহাসনে বসেন।
এরপর ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর যুবরাজ ফিলিপের সঙ্গে বিয়ে হয়। তবে দ্য টেলিগ্রাফের মতে, ফিলিপের সঙ্গে এলিজাবেথের প্রথম বাগদান সম্পন্ন হয় ১৯৪৬ সালে। যদিও ১৯৪৭ সালের পহেলা এপ্রিল এলিজাবেথ ২১ বছরে পদার্পণের পর সেটি স্বীকৃতি পায়।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৫ আগস্ট ২০২৩