শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

‘যে হাত আগুন দেবে, সেই হাত আগুনেই পুড়িয়ে দেওয়া হবে’

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২

বিএনপির প্রতি কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বারবার আঘাত দেবে আর আমাদের সহ্য করতে হবে, তা আর হবে না। মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে আর ছিনিমিনি খেলতে দেব না। যে হাত আগুন দেবে সেই হাত সেই আগুনেই পুড়িয়ে দেওয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে আয়োজিত এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।

অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিষয়ে দেশবাসীসহ নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ থেকে সবাইকে সব জায়গায় সতর্ক প্রহরায় থাকতে হবে। তারা যে হাত দিয়ে আগুন দেবে সেই হাত সেই আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।’

বিএনপির অপকর্ম, জঙ্গিবাদ দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির কারণেই এক/এগারোতে এমার্জেন্সি হয়েছিল দাবি করে তারেক রহমানের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমার বাপই (জিয়াউর রহমান) আমাকে আটকিয়ে রাখতে পারেনি। দেশে চলে এসেছি। আর রাজনীতি করার এতো শখ থাকলে এমার্জেন্সি হওয়ার পরে মুচলেকা দিয়ে কেন বিদেশে চলে গেলে? ওখানে থেকে বড় বড় কথা। বাংলাদেশ ডিজিটাল করেছি আমরা। সেই সুবিধা নিয়ে বিদেশে বসে বড় বড় কথা। এতো সাহস থাকলে চলে গেল কেন?’

বিদেশিদের কাছে বিএনপির নালিশের প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কথায় কথায় অন্য দেশের কাছে গিয়ে ধর্না। আমিও জানি কি করতে হবে। বারবার আঘাত দেবে আর সহ্য করতে হবে। এটা আর সহ্য করবো না। আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হবে। আজ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা দিল, মার্ডার কেস, ওয়ারেন্ট ইস্যু করল। আমার মেয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা আমি তার পাশে থাকতে পারিনি। আমার ছেলের বউয়ের অপারেশন হয়েছে, তাকে আমি সেবা করতে গেছি কিন্তু আমি যেতে পারলাম না। যেতে পারলাম না আমার মেয়ের কাছে, কারণ চিঠি পেলাম ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে ফিরে আসবো। আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। আমি দেশে যাবো কোর্টে দাঁড়াব। সেই কারণে আমি দেশে ফিরে এসেছি।’

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পারেশনের মেয়রদের সঙ্গে এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দফতর সায়েম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীসহ অনেকে।


আরো খবর: